তাহিরপুরে “মা” হয়েছে পাগলী মেলেনি “পিতার” খোঁজ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সদরের বাজারে অবস্থানকৃত এক মানসিক প্রতিবন্ধী পাগলী একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তানের মা হলেও বাবা হয় নি কেউ।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঐ মানসিক প্রতিবন্ধী পাগলীর সম্পর্কে কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি।
আজ রবিবার (৫ই নবেম্বর ) শেষ রাতে ৬টার দিকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছে ঐ মানসিক প্রতিবন্ধী।
তাহিরপুর বাজার কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী এক পাগলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের তাহিরপুর বাজারে অন্তঃসত্তা হয়ে চার থেকে পাঁচ দিন ধরে হঠাৎ করে বাজারে অবস্থান শুরু করে। বাজারের যেখানে ইচ্ছে হয় সে সেখানেই অবস্থান করে। আর বাজারে আগত মানুষজন ও হোটেলগুলো থেকে যে খাবার দিত তাই খেয়ে সে চলতো।
এদিকে তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন স্থানীয় সবার নজরে পরে, মানুষিক প্রতিবন্ধীর রাতে ৩ টার দিকে পাগলীর প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে বাজার কমিটির দায়িত্বশীল লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ভোর সকালে ফুটফুটে একটি মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। বর্তমানে ঐ পাগলী ও ভূমিষ্ট হওয়া বাচ্চা তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে । সদ্য ভূমিষ্ট শিশুটি ও মানসিক প্রতিবন্ধী পাগলী সুস্থ অবস্থায় রয়েছে বলে জানান হাসপাতালে কতব্যর্রত চিকিৎসকগন।
তাহিরপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী পাগলী বাজারে অন্তঃসত্তা হয়ে চার থেকে পাঁচদিন হঠাৎ করেই কোথা থেকে এসে বাজারে অবস্থান শুরু করে। আজ রাত ৩ টার দিকে প্রসব ব্যথা উঠলে আমি ফোন করে বাজারের পাহারাদার ও লোকজন পাটিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাটাই। পরে একটি একটি মেয়ে ভূমিষ্ট হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কর্তব্যরত সেবিকারা জানান, মেয়ে সন্তান হওয়ায় অনেকে শিশুটিকে নিতে চাচ্ছেন না,অনেকে ছেলে ভেবে হাসপাতালে আসেন নেওয়ার জন্য মেয়ে দেখে সবাই চলে যান, মা ও শিশুটি সেবা আমরা সব সময় আমরা নিয়োজিত রয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, সদ্য ভূমিষ্ট শিশু ও মা ভাল আছে কোন সমস্যা নেই। মা ও শিশুটি এখন আমাদের কাছে পর্যবেক্ষনে রয়েছে। পরবর্তীতে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেয় সে ভাবেই পদক্ষেপ নেয়া হবে জানান, হাসপাতালের একটি রুমে মা ও স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে বাচ্চা শিশুটিকে রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স তাদের সেবায় নিয়োজিত আছেন পাগলী মা যেনো পালিয়ে যেতে না পারেন তারও খেয়াল রাখার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন শিশুটিকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।