ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রথম মাদরাসা,কওমি সিলেবাস অনুযায়ী চলবে

News Editor
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৮৪ বার পড়া হয়েছে

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রথম মাদরাসা,কওমি সিলেবাস অনুযায়ী চলবে। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো একটি আলাদা মাদরাসা। স্বতন্ত্র এই মাদরাসাটির নাম রাখা হয়েছে ‘দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা’। ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ছাতা মসজিদ রোড এলাকায় অবস্থিত মাদরাসাটি শুক্রবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

শনিবার থেকে সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন।

জানা গেছে, মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মাদরাসাটি চালু হয়েছে। এই মাদরাসায় পড়ালেখার জন্য হিজড়াদের কোনো খরচ লাগবে না।

বশেমুরবিপ্রবির দুই সাংবাদিককে হয়রানি, থানায় জিডি

২০২০ সালে সরকার স্বীকৃত কওমি সিলেবাস অনুযায়ী মাদরাসাটি পরিচালিত হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে অনাবাসিক এই মাদরাসাটির যাত্রা শুরু হয়েছে।

শুরুতে মাদরাসাটিতে তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাদরাসাটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সচিব মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ হুসাইনী।

তিনি বলেছেন, মাদরাসায় নুরানি বিভাগ থেকে নিয়ে হেফজুল কোরআন, দাওরায়ে হাদিস থাকবে। গত বছর সরকার কওমি মাদরাসার যে সিলেবাসের (সনদ) স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই সিলেবাস অনুসারে মাদরাসাটি পরিচালিত হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে মাদরাসার শিক্ষকদের ১০ হাজার টাকা করে বেতন দেয়া হচ্ছে। যারা ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আছে তাদের বেতন ৩০ হাজার টাকা। শিক্ষকসহ মাদরাসার পরিচালনার খরচ দিচ্ছে মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা স্থাপন করা হয়েছে একটি তিন তলা ভবনে। এর প্রতিটি তলায় প্রায় ১২০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। এখানেই সব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাচে ভাগ করে পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হবে। তৃতীয় লিঙ্গের এই মাদরাসায় পড়ার ক্ষেত্রে কোনো বয়স সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। অর্থাৎ হিজড়া জনগোষ্ঠীর যেকোনো বয়সের মানুষ এই মাদরাসায় ভর্তি হতে পারবেন।

সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর মতে, এই সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।

এ ধরনের স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে খুশি হিজড়া সম্প্রদায়। হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবিদা সুলতানা মিতু বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য এই প্রথম দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। হিজড়াদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর সুযোগ দেয়া হলে তারা রাস্তায় নেমে কাউকে বিরক্ত করবে না। তারাও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে চায়। আমি এজন্য মাদরাসাটির উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে ২০১৩ সালে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেয় শেখ হাসিনা সরকার। সর্বশেষ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে নিবন্ধন করতে অনুমতি পান তারা। এবার এই জনগোষ্ঠীর জন্য ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিল বাংলাদেশ।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রথম মাদরাসা,কওমি সিলেবাস অনুযায়ী চলবে

আপডেট সময় : ১০:৫২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রথম মাদরাসা,কওমি সিলেবাস অনুযায়ী চলবে। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো একটি আলাদা মাদরাসা। স্বতন্ত্র এই মাদরাসাটির নাম রাখা হয়েছে ‘দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা’। ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ছাতা মসজিদ রোড এলাকায় অবস্থিত মাদরাসাটি শুক্রবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

শনিবার থেকে সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন।

জানা গেছে, মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মাদরাসাটি চালু হয়েছে। এই মাদরাসায় পড়ালেখার জন্য হিজড়াদের কোনো খরচ লাগবে না।

বশেমুরবিপ্রবির দুই সাংবাদিককে হয়রানি, থানায় জিডি

২০২০ সালে সরকার স্বীকৃত কওমি সিলেবাস অনুযায়ী মাদরাসাটি পরিচালিত হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে অনাবাসিক এই মাদরাসাটির যাত্রা শুরু হয়েছে।

শুরুতে মাদরাসাটিতে তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাদরাসাটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সচিব মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ হুসাইনী।

তিনি বলেছেন, মাদরাসায় নুরানি বিভাগ থেকে নিয়ে হেফজুল কোরআন, দাওরায়ে হাদিস থাকবে। গত বছর সরকার কওমি মাদরাসার যে সিলেবাসের (সনদ) স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই সিলেবাস অনুসারে মাদরাসাটি পরিচালিত হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে মাদরাসার শিক্ষকদের ১০ হাজার টাকা করে বেতন দেয়া হচ্ছে। যারা ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আছে তাদের বেতন ৩০ হাজার টাকা। শিক্ষকসহ মাদরাসার পরিচালনার খরচ দিচ্ছে মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা স্থাপন করা হয়েছে একটি তিন তলা ভবনে। এর প্রতিটি তলায় প্রায় ১২০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। এখানেই সব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাচে ভাগ করে পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হবে। তৃতীয় লিঙ্গের এই মাদরাসায় পড়ার ক্ষেত্রে কোনো বয়স সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। অর্থাৎ হিজড়া জনগোষ্ঠীর যেকোনো বয়সের মানুষ এই মাদরাসায় ভর্তি হতে পারবেন।

সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর মতে, এই সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।

এ ধরনের স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে খুশি হিজড়া সম্প্রদায়। হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবিদা সুলতানা মিতু বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য এই প্রথম দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। হিজড়াদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর সুযোগ দেয়া হলে তারা রাস্তায় নেমে কাউকে বিরক্ত করবে না। তারাও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে চায়। আমি এজন্য মাদরাসাটির উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে ২০১৩ সালে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেয় শেখ হাসিনা সরকার। সর্বশেষ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে নিবন্ধন করতে অনুমতি পান তারা। এবার এই জনগোষ্ঠীর জন্য ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিল বাংলাদেশ।