চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ: দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধোর, আহত ৩ জন।
দিনাজপুরের খানসামা বাসুলী গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম আজাদের ছেলে মোজাম্মেল হকের গরুর বাচুরকে কেন্দ্র করে মারধোর, এতে ৩ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের বাসুলী গ্রামে।
আহতদের মধ্যে মোজাম্মেল হক ও তার ছোট ভাই সামিউলকে অবরুদ্ধ অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত মোজাম্মেল হক জানান, গতকাল ৭ই মে শুক্রবার বিকাল ৫ঃ৩০ টায় আমার ১ টা গরুর বাছুর হাসেন আলীর বাড়ির সামনের উঠানে যায়। আমার স্ত্রী রত্না (২৫) বাছুর টি আনতে গেলে আমার স্ত্রীকে হাসেন আলী থাপ্পড় মারে এবং আরও ৪ জন শাহিন, সাজেদা , সালেহা সাকাত মিলে মারধর করে। কিল ঘুসি, চুল ধরে টানাটানি, হিচ্রাহিচ্রি করে। আমি খবর পেয়ে ১ ঘন্টা পর আসি। বাড়ির লোকজন কে ধৈর্য ধারণ করে চুপ থাকতে বলি। তারপর আমি এবং আমার ছোটভাই সামিউল (২০) বাজারে দোকানদারী র উদ্দেশ্যে রওনা দিলে। রাস্তায় অতর্কিত ভাবে শাহিন, শফিকুল, সাকাত , হাসেন সহ অজ্ঞাত কয়েকজন আমাদের আক্রোমন করে এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে এবং আমার ভাইকেও কোপ মারে। আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে বাড়ি এসে গেট লাগিয়ে দেই।
ওরা আমাদের বাড়িতে এসে আক্রোমণের চেস্টা করে। গেইট ভেঙ্গে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমরা ভয়ে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাই। তারা আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে এমনকি লুটপাট করে বলে খবর পাই। জানতে পারি এই সকল কিছু হয় শামছুল দেওয়ানির হুকুমে। আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে ধরলে বেল্লাল, আইনুল, চানমিয়াঁ , সাকাত লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে আমাদের পথ রোধ করে। তখন সাহাজুদ্দিন আমাদের কে তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। তারা বাড়ির চারদিকে মহরা করে। আমরা দিশাকুল না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাই। ফলে পুলিশ এসে আমাদের অবরুদ্ধ হতে রক্ষা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রেরণ করেন ।
আহত মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ২০০৫ সালে এভাবেই আমার আব্বাকে প্রকাশ্য দিবালকে খুন করে এই হাসেন আলী সাকাত । আর এই শামছুল গং বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।
আমার গ্রামের লোকজন আমাকে ফোন বলতেছে যে হাসপাতাল থেকে আমি যেন বাড়ি না ফিরি । আমাকে লুকিয়ে থাকতে হবে। অন্যথায় আমাকে যেখানে পাবে আমার আব্বার মত আমাকেও খুন করবে।
খানসামা থানার ওসি শেখ কামাল হোসেন বলেন, আমি আমার ডিউটিতে বাহিরে ছিলাম। বিষয়টি আমি এখনো জানতে পারিনি তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।