দেশে ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন সংশোধন করে অপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। পাশাপাশি তিনি ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভ টকশোতে তিনি এই দাবি করেন।
কিশোরগঞ্জে উৎপাদিত পনির এবার বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ হবে: প্রধানমন্ত্রী
শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন সাজা আছে। আমি একজন আইন প্রণেতা হিসেবে মনে করি আইনটা সংশোধন করা উচিত। বিভিন্ন দেশে ধর্ষককে বিভিন্নভাবে সাজা দেয়া হয়। তবে মোঙ্গলিয়ার পদ্ধতি আমার ভালো লাগে। সেখানে ধর্ষিতার পরিবার ধর্ষককে সাজা দেয়। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ইমাম, পাত্রী যেই হোক না কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। ৪টা ঘটনার (ধর্ষণ) বিচারপতির কাছে আমি অনুরোধ করবো, আইন সংশোধন করেই হোক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৪ ঘটনার অপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া হোক।
তিনি বলেন, শুধু আইন দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব না। তাহলে নরওয়ে, সুইডেনের মত দেশে ধর্ষণ হতো না। সেখানে কিন্তু রাজনীতির প্রভাব নেই। আমি মনে করি, আমাদের স্কুলগুলোতে এখন থেকে কারিকুলাম নেয়া উচিত। যেখানে আমাদের মেয়েদের ক্লাস ২/৩ থেকে আত্মরক্ষা শেখানো উচিত এবং ছেলেদের শেখানো উচিত মেয়েদের সম্মান করা। আমি মনে করেই, সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট একটা পথ হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, আইন সংশোধন করা উচিত। আইনটা এমনভাবে করা উচিত যাতে ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার হয়। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখি ভুক্তভোগী বিচারের জন্য কারো কাছে যান না। তার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের সমাজে যে ধর্ষিতা সেই বড় অপরাধী। সমাজের সকলে তার দিকে অন্য দৃষ্টিতে তাকায়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তার সুযোগ নিতে চায়। আমাদের দেশের আইনজীবীরা যদি এই কমিটমেন্টে আসে যে, সত্য ধর্ষণ ঘটনায় আইনজীবীরা ফ্রিতে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের জন্য লড়বে।
শামীম ওসমান বলেন, ভুক্তভোগীর চিকিৎসার দায়ভার রাষ্ট্রকে নিতে হবে, মেন্টাল সাপোর্ট দিতে হবে এবং ভুক্তভোগীকে কোনো রকম অভিযোগ বা দোষারোপ করা যাবে না।