গত দুই বছরে ছয় বার পিছিয়েছে ধর্ষণ মামলার রায়। আদালত পাল্টেছে দুই বার। জামিনে থাকা আসামি এখন লাপাত্তা। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিচার পাওয়ার আশা আর ধরে রাখতে পারছেন না নির্যাতিতা।
বিচারের আশায় দুই বছর ধরে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। জামিনে থাকা আসামির ভয়ে কোণঠাসা এই নির্যাতিতা।
নারী নির্যাতনের দায়ীদের শিগগিরই আইনের মুখোমুখি করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্যাতিতা জানান, আমি শুধু ন্যায় বিচারের আশায় আমার সাথে যে অন্যায়টা হয়েছে; সেটার ন্যায় বিচার চাই। সেজন্য আমি হাইকোর্ট ও জজকোর্টের বারান্দায় ঘুরতেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ধর্ষণ মামলার বিচার চাই। দেশে এখন ধর্ষণের মহামারি চলতেছে।
২০১৮ সালে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের পর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন এই নারী। আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে-৭ থেকে ৫ এ বদলির পর বিচারক ছুটিতে থাকায় মঙ্গলবার ধার্য তারিখে রায় হয়নি। এ কোর্টে বদলি হওয়ার আগেও রায়ের তারিখ পিছিয়েছে ৫ বার।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী শ.ম আব্দুল আওয়াল বকুল বলেন, আজকে রায় ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় হয়নি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি আসলাম কৌশলে নিজ বাসায় নিয়ে যায় বাদীকে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন এই ভুক্তভোগী।
প্রায় দেড় বছর মামলা চলার পর আদালতের প্রতি অনাস্থার কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের আগস্টে ট্রাইব্যুনাল বদলি করা হয়।