নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে চিরচেনা রূপে পারকি সমুদ্র সৈকত
শেখ আবদুল্লাহ, চট্রগ্রাম প্রতিনিধি: চিরচেনা রূপে দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের মতো সাগর কন্যা নামে খ্যাত চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত পারকি সমুদ্র সৈকতে । করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ আরোপের ৪ মাস ১৯ দিন পর অবশেষে গত (১৯ আগস্ট) ১৬ শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে পারকি সমুদ্র সৈকত সহ সব বিনোদন কেন্দ্র দশনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
করোনার কারণে প্রায় ৪ মাস ১৯ দিন ধরে অন্যান্য পর্যটন স্পষ্টের পাশাপাশি পারকি সমুদ্র সৈকতেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। যার কারণে পর্যটকশূন্য ছিল সৈকত। গত (১৯ আগস্ট) ১৬ শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। শুক্রবার থেকে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে পারকী বীচ, সরেজমিনে ২২ আগস্ট বিকেলের মধ্যেই পারকি সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোও প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরে উঠছে।
বরণ করে নিতে পর্যটকদের পারকি সমুদ্র সৈকতের আশপাশের হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরোঁগুলো পরিচ্ছন্নতা শেষে উপযোগী করে পুণরায় চালু হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত ছোট ছোট দোকান, হকার, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোও খোলা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসন এর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে দিয়েছে।
এমনকি সৈকতে মাস্ক পরিধান থেকে শুরু করে বালুচরের পর্যটন ছাতার দুরত্ব, হোটেল-রেষ্টুরেন্টের টেবিল-চেয়ারের দুরত্ব অবশ্যই তিন ফুটের বেশি রাখারও নির্দেশনা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে চিরচেনা পারকি সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ দর্শনার্থীরা।
দীর্ঘসময় পর ঘরবন্দী মানুষগুলো সৈকত দেখতে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত।কেউ বাইক নিয়ে ছুটছে, কেউ ঘোড়া দৌড়াচ্ছে, কেউ সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করছে ঘুরে, কেউ বন্ধুদের সাথে মেতেছে ফুটবলে,কেউ সময় পার করছে জুয়াড়িতে, আবার কেউ ব্যস্ত সেল্পিতে। সমস্ত পারকী বীচ জুড়ে এইসমস্ত দৃশ্যই চোখে পড়ে।তবে, মানুষের সমাগম বাড়লেও লক্ষ্য করা যায়না স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি।
পর্যটকদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিলোনা,মানা হচ্ছিল না সামাজিক দূরত্বও। আজম খাঁন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, করোনা পরিস্থিতি কারণে সৈকত প্রবেশ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সৈকতে প্রবেশে শিথিলতার আসার পর ঘুরতে আসলাম। এখন সৈকতে এসে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ সমুদ্র সৈকত প্রত্যেক ভ্রমণপিসাসুর জন্য পছন্দের একটি স্থান।
বীচে থাকা এক দোকানীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সারাবছর লকডাউনের ফলে তেমন ব্যবসা হয়নি। এতদিন দোকান বন্ধ ছিলো গত বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছি।বৃহস্পতিবার তেমন পর্যটক না আসলেও শুক্রবার থেকে পর্যটক আসা শুরু করছে। এতদিন অনেক কষ্ট করে দিন কাটাইছি হয়তো এআার একটু স্বস্তি পাবো।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ,পারকী বীচ পরিচালানা কমিটির সভাপতি,শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, এটা যেহেতু কর্ণফুলী থানার আওতায় তাই বন্দর পুলিশ ফাঁড়ী এটার নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করে। আর পারকী বীচের জন্য টুরিস্ট পুলিশের একটি ক্যাম্প করার বিষয়ে উধ্বতন কর্মকর্তা সাথে কথা বলেছি আশা করছি শীঘ্রই এটা হয়ে যাবে।