ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা

নিষেধাজ্ঞায়ও থেমে নেই ইলিশ শিকার, পানির দামে বড় ইলিশ

News Editor
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৮১ বার পড়া হয়েছে

মা ইলিশ রক্ষায় সারাদেশে চলছে ইলিশ শিকার-পরিবহন-বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা। অথচ এ নিষাধাজ্ঞার তোয়াক্কাই করছে না বরিশালের বাবুগঞ্জের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নদীর পাড়েই পানির দামে বিক্রি হচ্ছে ছোট-বড় ইলিশ। মাছ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারাও।

সরেজমিনে সুগন্ধা, সন্ধ্যা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের পাঁচটি ইলিশ মাত্র দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট সাইজের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০ টাকায়। বেশি মুনাফার আশায় এক শ্রেণির অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকার করছে। মাছ কিনতে নদীর পারে ব্যাগ ও বস্তা নিয়ে ক্রেতাদের আনাগোনা চলছে। নদীর পার থেকেই মাছ কিনে বস্তা বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে তারা।

শেখ হাসিনার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা সফল হয়েছে

জানা গেছে, সুগন্ধা নদী সংলগ্ন উত্তর দেহেরগতি ও দক্ষিণ দেহেরগতি, বাহেরচর বাজার, সন্ধ্যা নদী সংলগ্ন জাহাঙ্গীরনগর ও কেদারপুর ইউপির ভাঙ্গার মুখ, রমজানকাঠী, শিলন্দিয়া, মোল্লারহাট বাজার, ছানিকেদারপুর, স্টিমারঘাট, পূর্ব কেদারপুর, পশ্চিম ভূতেরদিয়া, আড়িয়াল খাঁ নদী সংলগ্ন রহমতপুর ও চাঁদপাশা ইউপির রাজগুরু, নয়াচর, সিংহেরকাঠী, নোমর হাট, ছোট মিরগঞ্জ, রফিয়াদি এলাকার সব স্পটে অবাধে চলছে মা ইলিশ নিধন।

এসব স্পটে জেলেরা রাতের আঁধারে মা ইলিশ শিকার করে অনেক কম দামে গোপনে বিক্রি করে। ত্রেতারা গোপনে মাছ কিনে ফ্রিজে রাখছেন। এমনকি বিভিন্ন আড়তদারের কাছে বিক্রিও করছেন। এক কেজি সাইজের ইলিশের হালি ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।

বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সায়েদুজ্জামান বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা তিনটি নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় একদিকে অভিযান চালালে অন্য প্রান্তে জেলেরা নদীতে জাল ফেলছে। অভিযানের সময় অসাধু জেলেরা নদীর পাড়ে পাহারা বসিয়ে রাখে। আমরা অভিযানে যাওয়ার আগে মোবাইলে তাদের কাছে খবর পৌঁছে যায়। এ কারণে অসাধু জেলেদের ধরা যাচ্ছে না।

নিষেধাজ্ঞায়ও থেমে নেই ইলিশ শিকার, পানির দামে বড় ইলিশ

আপডেট সময় : ১০:১৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

মা ইলিশ রক্ষায় সারাদেশে চলছে ইলিশ শিকার-পরিবহন-বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা। অথচ এ নিষাধাজ্ঞার তোয়াক্কাই করছে না বরিশালের বাবুগঞ্জের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নদীর পাড়েই পানির দামে বিক্রি হচ্ছে ছোট-বড় ইলিশ। মাছ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারাও।

সরেজমিনে সুগন্ধা, সন্ধ্যা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের পাঁচটি ইলিশ মাত্র দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট সাইজের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০ টাকায়। বেশি মুনাফার আশায় এক শ্রেণির অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকার করছে। মাছ কিনতে নদীর পারে ব্যাগ ও বস্তা নিয়ে ক্রেতাদের আনাগোনা চলছে। নদীর পার থেকেই মাছ কিনে বস্তা বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে তারা।

শেখ হাসিনার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা সফল হয়েছে

জানা গেছে, সুগন্ধা নদী সংলগ্ন উত্তর দেহেরগতি ও দক্ষিণ দেহেরগতি, বাহেরচর বাজার, সন্ধ্যা নদী সংলগ্ন জাহাঙ্গীরনগর ও কেদারপুর ইউপির ভাঙ্গার মুখ, রমজানকাঠী, শিলন্দিয়া, মোল্লারহাট বাজার, ছানিকেদারপুর, স্টিমারঘাট, পূর্ব কেদারপুর, পশ্চিম ভূতেরদিয়া, আড়িয়াল খাঁ নদী সংলগ্ন রহমতপুর ও চাঁদপাশা ইউপির রাজগুরু, নয়াচর, সিংহেরকাঠী, নোমর হাট, ছোট মিরগঞ্জ, রফিয়াদি এলাকার সব স্পটে অবাধে চলছে মা ইলিশ নিধন।

এসব স্পটে জেলেরা রাতের আঁধারে মা ইলিশ শিকার করে অনেক কম দামে গোপনে বিক্রি করে। ত্রেতারা গোপনে মাছ কিনে ফ্রিজে রাখছেন। এমনকি বিভিন্ন আড়তদারের কাছে বিক্রিও করছেন। এক কেজি সাইজের ইলিশের হালি ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।

বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সায়েদুজ্জামান বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা তিনটি নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় একদিকে অভিযান চালালে অন্য প্রান্তে জেলেরা নদীতে জাল ফেলছে। অভিযানের সময় অসাধু জেলেরা নদীর পাড়ে পাহারা বসিয়ে রাখে। আমরা অভিযানে যাওয়ার আগে মোবাইলে তাদের কাছে খবর পৌঁছে যায়। এ কারণে অসাধু জেলেদের ধরা যাচ্ছে না।