আঙুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিসমিস। খালি বা বিভিন্ন খাবারের উপাদান হিসেবে মিশিয়ে খাওয়া হয় কিসমিস। এমনকি কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এর উপকারের কথা বলেও শেষ করা যাবে না।
কিসমিসে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার রয়েছে। কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগায় এবং রক্ত উৎপাদনেও সহায়তা করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম।
কিসমিসের কয়েকটি উপকারিতা-
সুস্থভাবে ওজন বাড়ায়
খেজুর, কাজুবাদাম ইত্যাদির মতোই কিসমিস সুস্থ উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে প্রচুর ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোয ও পোটেনশিয়াল এনার্জিতে ভরপুর এই কিসমিস।
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই এটি শরীরের পরিপাকক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর করে।
রক্তস্বল্পতা কাটিয়ে তোলে
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে লোহা ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে থাকা কপার রক্তের লোহিত কণার পরিমাণ বাড়ায়। প্রতিদিন কিশমিশ খেলে শরীরে লোহার অভাব ও রক্তস্বল্পতা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
মস্তিষ্কের জন্য
কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। বোরন ধ্যান বাড়াতে সহায়ক। ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে।
চোখের জন্য
চোখের জন্য আদর্শ খাবার। কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন।
হাড় গঠনের জন্য
হাড় গঠনের জন্য যা প্রয়োজন, তা কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে থাকে। আরও রয়েছে ক্যালসিয়াম ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। আর তাই প্রতিদিন ভেজা কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস হাড় সুস্থ ও সুদৃঢ় রাখবে।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে
প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ কিসমিস শরীরে বাড়তি ক্যালরি যোগ করা ছাড়াও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
জ্বর সারাতে
কিসমিসে আছে ফেনল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যার জীবাণুনাশক শক্তি, অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাল ইনফেকশানের জন্য হওয়া জ্বর কমাতে সাহায্য করে।