ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আহবান থাকবে যেখানে ধর্ষণ দেখবেন, ইভটিজিং দেখবেন, নিপীড়নের মতো ঘটনা দেখবেন প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
সাদ্দাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে, উচ্চ শিক্ষায় নারীদের সমতা অর্জিত হয়েছে, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে, মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধীদের এবং সিলেটের এমসি কলেজ, খাগড়াছড়ি ও সাভারে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সবার গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিতের দাবিতে’ এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
রক্ষক এখন ভক্ষক হয়ে গেছে, অনিয়মটাই নিয়ম হয়ে গেছে : শামীম ওসমান
সাদ্দাম বলেন, আমরা নিজেদের মুক্ত ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখি নির্যাতনমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা চাই বাংলাদেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রত্যেকটি স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালোবাসার ব্যারিকেড গড়ে তুলবে।
বিক্ষোভ সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদ্য সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড চাই—শুধু এটুকু বলেই আত্মতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
বরং নারীর ওপর অপরাধের শর্ত তৈরি করে যে সমাজ, সেই সমাজকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে হবে।’ নুরুলকে ‘ডাকসুর সাবেক নাট্যকার’ আখ্যায়িত করে সাদ্দাম বলেন, ‘গণমাধ্যমের বন্ধুদের বলব, আপনারা সিলেকটিভ নৈতিকতা না দেখিয়ে নৈর্ব্যক্তিক নৈতিকতা দেখান। সবার ব্যাপারেই যেন আপনাদের সমান চোখ থাকে। সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা পত্রিকায় লিড হবে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হবে, তা হতে পারে না। বিশেষ করে ডাকসুর সাবেক নাট্যকারের বক্তব্য-কর্মসূচিগুলোর ডেবিট-ক্রেডিট মিলছে না, ব্যালেন্সশিট সমান থাকছে না—গণমাধ্যমের বন্ধুরা বিষয়টি উপস্থাপন করুন।’