বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণমাধ্যম জনগণের কথা বলে। জনসচেতনতা ও জনমত গঠনে সংবাদপত্র কাজ করে থাকে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করে। গতকাল রাজধানী ঢাকার গুলশান ক্লাবের ক্রিস্টাল প্যালেস হলে নোয়াবের পঁচিশ বছরপূর্তি উপলক্ষে সংবাদপত্র সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নোয়াব)-এর সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
স্পীকার বলেন, জাতি বিনির্মাণে সংবাদপত্রের অবদান অনস্বীকার্য। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৬৬ এর ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান এবং ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পথ পরিক্রমায় সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগী ভূমিকা আবশ্যক।
স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সংবাদপত্র জনমত গঠনে ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথ চলা সহজ করেছেন। প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়ে বর্তমান সরকার মিডিয়া বান্ধব পলিসি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংবাদপত্রের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।উল্লেখ্য, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ২০২২ সালে পঁচিশ বছর পেরোনো সদস্য সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা প্রদান করে। এ বছর ৫০ বছর পেরোনো ক্যাটাগরিতে ৪টি সংবাদপত্র যথা- সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং ২৫ বছর পেরোনো ক্যাটাগরিতে মানবজমিন ও দৈনিক প্রথম আলোকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলী, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।