নড়াইলে হামলায় আহত ইমামের মৃত্যু
মোঃ হাবিবুর রহমান নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে অস্ত্রে আঘাতে আহত ইমাম আল-আমিন শেখ (৩৫) চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা গেছেন। ৪দিন চিকিৎসার পর শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার সোরোয়ার্দি হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত আল-আমিন কালিয়া উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের মৃত আবুল শেখের ছেলে। তিনি মহিষখোলা গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।
ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মহিষখোলা গ্রামের দুটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন পাচগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান জহুরুল হক ও বাদশা মোল্যা। গত মঙ্গলবার বিকালে (১৬ ফেব্রুয়ারি) মহিষখোল গ্রামের মাহাবুর শেখ ও রিজাউল ম্যোলার বাড়ির সিমানা নির্ধারণ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় স্থানীয় মসজিদের ইমাম আল আমিন (রিজাউল ম্যোলার শ্যালক) ঠেকাতে গেলে মর মাহাবুর শেখের লোকজন তার উপর হামলা করে। আহত আল-আমিনকে প্রথমে খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ওই সংঘর্ষের বাদশা মোল্যার পক্ষের ৫ জন হাসান মোল্যা (২০), হোসেন মোল্যা (২০), সুফিয়ান মোল্য (২৫), জিহাদ মো্যলা (২৩) ও তহিদ শেখ (৫৫) এবং জহুরুল হকের পক্ষের হাফিজুর মোল্যা (৫৫) ও শিহাব মোল্যা (৩০) আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে ও খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়া বলেন,এ ঘটনায় গতকাল লাহু নামে একজন বাদী হয়ে ১৮জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আরও সাত থেকে আটজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা তিন জনকে ততক্ষণাত আটক করি।এবং আমাদের পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।