ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ Logo সীমান্ত কার্যক্রম নিয়ে প্রেস বিফ্রিং করেছে পানছড়ি বিজিবি Logo শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির মামলায় রায় ঘোষণা আজ Logo মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প, কাঁপল টেকনাফ Logo গিনি-বিসাউয়ে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার Logo মোজাম্মেল জাহানারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বাহেরবালী নয়াহাটি মানবিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo পাহাড় থেকেই তৈরি হবে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব: সাদিক কায়েম

পাঁচবিবিতে কদর বেড়েছে সু-স্বাদু তালের শাঁসের

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
  • / ১০৫৪ বার পড়া হয়েছে

পাঁচবিবিতে কদর বেড়েছে সু-স্বাদু তালের শাঁসের

 

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভাসহ উপজেলার প্রত্যন্ত হাট-বাজারে তালশাঁস বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। এটি গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৌসুমি ফল। এই ফলের স্বাদ ভিন্ন রকম। তীব্র দাবদাহ আর গরমে বিপর্যস্থ মানুষ তৃষ্ণা মেটাতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন সুস্বাদু তাল শাঁসের দোকানে । এই গরমে তাদের পছন্দ এখন তালের শাঁস। তবে গত বছরের চেয়ে এই বছর তালশাঁসের দাম অনেকটা বেশি অভিযোগ ক্রেতাদের। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন ফলন কম তাই দাম বেশি।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তালশাঁস ব্যবসায়ীরা তালের খামাল দিয়ে বসে আছেন, আর তাল কেটে শাঁস বেড় করতে ব্যস্ত তারা। বছরের প্রথম মৌসুমী ফল, এ ফল খেতে তার চারপাশে ভিড় করছেন ক্রেতারা। প্রতিজন ১৫ থেকে ২০টি করে অর্ডার দিচ্ছেন। এতে কাটতে হিমশিম খাচ্ছেন এসব তালশাঁস ব্যবসায়ীরা।

 

চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে এবার তালের ফলন কম। গেলো বছর ৩ থেকে ৪ টাকা দরে প্রতিটি তাল ক্রয় করতো তাল ব্যবসায়ীরা। এইবার তা কিনতে হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকা দরে। একটা তালের মধ্যে থাকে ২ থেকে ৩টি শাঁস। এখন প্রতিটি তালশাঁস বিক্রি করছেন ৪ টাকা পিস।

 

জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে উঠতে শুরু করে তালের শাঁস। এদিকে যতদিন যাচ্ছে, ততই তালের গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে অনেকটায় দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে তালের শাঁস।

 

এক সময় গ্রামগঞ্জের মাঠে-ঘাটে আর রাস্তারর পাশে দেখা যেতো তালের গাছ। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। আগের দিনে মানুষ তালের শাঁস কিনে খেতো কম, কেননা হাতের নাগালেই পাওয়া যেতো। এখন সেই তাল টাকার বিনিময়ে কিনে খেতে হচ্ছে।

 

উপজেলার ধরঞ্জী বাজারে কথা হয় তালশাঁস কিনতে আসা মারুফের সঙ্গে। তিনি বলেন, তালের শাঁস স্বাদে ভরা। আমারসহ পরিবারের সবার পছন্দ, তাই তালশাঁস কিনতে আসছি। পরিবারের জন্য ২০টি তাল শাঁস নিয়ে যাচ্ছি।

 

আরেকজন ক্রেতা বলেন, অন্যান্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের স্বাদ আলাদা। অন্য ফলের মাঝে এই স্বাদ খুঁজে পাই না। প্রতি বছর তাল উঠলে আমি প্রতিদিন ৫ থেকে ৭টা করে তালশাঁস খেয়ে থাকি।

 

তাল ব্যবসায়ী শ্রী বিষ্ণ চন্দ্র ও খোরশেদ বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছীদের নিকট থেকে তাল কিনে বিক্রি করি। আগের বছর গুলোতে গাছে প্রচুর তাল পাওয়া যেত, এবার তেমনটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দূর থেকে কচি তাল কিনে আনতে হচ্ছে। গত বারের চেয়ে এবার দাম বেশি। এবার খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৬শ টাকা কামাই হচ্ছে।

ট্যাগস :

পাঁচবিবিতে কদর বেড়েছে সু-স্বাদু তালের শাঁসের

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

পাঁচবিবিতে কদর বেড়েছে সু-স্বাদু তালের শাঁসের

 

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভাসহ উপজেলার প্রত্যন্ত হাট-বাজারে তালশাঁস বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। এটি গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৌসুমি ফল। এই ফলের স্বাদ ভিন্ন রকম। তীব্র দাবদাহ আর গরমে বিপর্যস্থ মানুষ তৃষ্ণা মেটাতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন সুস্বাদু তাল শাঁসের দোকানে । এই গরমে তাদের পছন্দ এখন তালের শাঁস। তবে গত বছরের চেয়ে এই বছর তালশাঁসের দাম অনেকটা বেশি অভিযোগ ক্রেতাদের। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন ফলন কম তাই দাম বেশি।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তালশাঁস ব্যবসায়ীরা তালের খামাল দিয়ে বসে আছেন, আর তাল কেটে শাঁস বেড় করতে ব্যস্ত তারা। বছরের প্রথম মৌসুমী ফল, এ ফল খেতে তার চারপাশে ভিড় করছেন ক্রেতারা। প্রতিজন ১৫ থেকে ২০টি করে অর্ডার দিচ্ছেন। এতে কাটতে হিমশিম খাচ্ছেন এসব তালশাঁস ব্যবসায়ীরা।

 

চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে এবার তালের ফলন কম। গেলো বছর ৩ থেকে ৪ টাকা দরে প্রতিটি তাল ক্রয় করতো তাল ব্যবসায়ীরা। এইবার তা কিনতে হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকা দরে। একটা তালের মধ্যে থাকে ২ থেকে ৩টি শাঁস। এখন প্রতিটি তালশাঁস বিক্রি করছেন ৪ টাকা পিস।

 

জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে উঠতে শুরু করে তালের শাঁস। এদিকে যতদিন যাচ্ছে, ততই তালের গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে অনেকটায় দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে তালের শাঁস।

 

এক সময় গ্রামগঞ্জের মাঠে-ঘাটে আর রাস্তারর পাশে দেখা যেতো তালের গাছ। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। আগের দিনে মানুষ তালের শাঁস কিনে খেতো কম, কেননা হাতের নাগালেই পাওয়া যেতো। এখন সেই তাল টাকার বিনিময়ে কিনে খেতে হচ্ছে।

 

উপজেলার ধরঞ্জী বাজারে কথা হয় তালশাঁস কিনতে আসা মারুফের সঙ্গে। তিনি বলেন, তালের শাঁস স্বাদে ভরা। আমারসহ পরিবারের সবার পছন্দ, তাই তালশাঁস কিনতে আসছি। পরিবারের জন্য ২০টি তাল শাঁস নিয়ে যাচ্ছি।

 

আরেকজন ক্রেতা বলেন, অন্যান্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের স্বাদ আলাদা। অন্য ফলের মাঝে এই স্বাদ খুঁজে পাই না। প্রতি বছর তাল উঠলে আমি প্রতিদিন ৫ থেকে ৭টা করে তালশাঁস খেয়ে থাকি।

 

তাল ব্যবসায়ী শ্রী বিষ্ণ চন্দ্র ও খোরশেদ বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছীদের নিকট থেকে তাল কিনে বিক্রি করি। আগের বছর গুলোতে গাছে প্রচুর তাল পাওয়া যেত, এবার তেমনটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দূর থেকে কচি তাল কিনে আনতে হচ্ছে। গত বারের চেয়ে এবার দাম বেশি। এবার খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৬শ টাকা কামাই হচ্ছে।