পাকিস্তানি অফিসার সাবির খান সিতারা-এ-জুরত সম্মানের অধিকারী ছিলেন, যা পাকিস্তানি সেনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান।জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরে পাকিস্তানি কর্মকর্তার ভাঙাচোরা কবর নির্মাণ করে দিল ভারতীয় সেনা। কবরটি প্রয়াত মেজর মোহাম্মদ সাবির খানের বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা সূত্র। ১৯৭২ সালে ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারান তিনি।
এই কবর পুনর্নির্মাণ করে ভারতীয় সেনার শ্রীনগর বেসড চিনার কর্পস জানিয়েছে প্রতিবেশি বা শত্রু দেশের সেনা হলেও তিনি তার দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।
পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেই তিনি তার বীরত্বের জন্য সম্মান পাওয়ার যোগ্য। তাই সেই সম্মান তাকে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। শুক্রবার টুইট করে চিনার কর্পস একটি ছবি পোস্ট করে, যাতে এপিটাফ লেখা ছিল কবরের ওপর।
সেনাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন শি জিনপিং
সেখানে লেখা ছিল ৫ মে ১৯৭২ সালে ৯ জন শিখের হামলায় প্রয়াত হন মেজর মোহাম্মদ সাবির খান। যিনি সিতারা-ই-জুরাত সম্মান প্রাপক। চিনার কর্পস এদিন টুইট করে জানান, ভারতীয় সেনা সব সময়ই অন্য দেশের সেনাদের শ্রদ্ধা করে। সেই শ্রদ্ধা থেকেই পাকিস্তানি মেজরের কবর পুনর্নির্মাণ করল ভারতীয় সেনা।
যে দেশেরই সেনা হন না কেন, তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করা হবে। ভারতীয় সেনার অন্তত এটাই সৌজন্যবোধ।