পানছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও নদীতে ফুল দিয়ে শুরু বৈ-সা-বি উৎসব
পানছড়ি প্রতিনিধিঃ
বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে শুরু হয়েছে বৈ-সা-বি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু, বিষু, বিহু…)। উৎসবটি উপলক্ষে আজ বুধবার (১২ এপ্রিল/২৩) সকালে ‘সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি’ বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও নদীতে ফুল দিয়ে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈ-সা-বি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু, বিষু, বিহু…) সূচনা করেছে এলাকাবাসী।
“ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদ সংঘাত বন্ধ হোক, জাতীয় ও আন্ত:জাতিগত ঐক্য সংহতি ও সম্প্রীতির বন্ধন জোরদার হোক” এই শ্লোগানে আয়োজিত র্যালিতে শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহন করেন। উপজেলার বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনও নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে র্যালিতে যোগ দেন।
র্যালি পূর্ববর্তী সকাল ৭টায় পানছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে গনজমায়েতে বক্তব্য রাখেন, পানছড়ি উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, চেঙ্গী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কালাচাঁদ চাকমা, লোগাং ইউপির চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা প্রমখ।
পরে বর্ণাঢ্য বিশাল একটি র্যালি সহযোগে শান্তিপুর রাবার ড্যামে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে নিজ নিজ জাতীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বিভিন্ন সম্প্রাদায়ের হাজারো জনতা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় র্যালিতে অংশগ্রহনকারীরা “সংঘাত নয়-ঐক্য চাই”। “যুদ্ধ নয়-শান্তি চাই”। “বৈসাবির চেতনা ঐক্য-সম্প্রীতির প্রেরণা”। “বৈসাবির অবিনশ্বর চেতনায়-সকল অন্যায় অবিচার দূর হোক”। “বৈসাবি সবার জন্য-সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক”। “বৈসাবি মানে ক্ষমা করা ও বৈরীতা দূর করা”। “‘বৈসাবির চেতনায়-নিজ জাতীয় সংস্কৃতি রক্ষা করুন”। “জাতীয় অস্তিত্বের গ্যারান্টি ছাড়া-সংস্কৃতি টিকে থাকে না”। “নিজ জাতীয় সংস্কৃতিকে উর্ধে তুলে ধরুন-বিজাতীয় অপসংস্কৃতি বর্জন করুন”-“বৈসাবির চেতনা মানে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা” ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
র্যালি শেষে অংশগ্রহনকারীরা সকলে রাবার ড্যামে (চেঙ্গী নদীতে) ফুল দিয়ে সকলের অনাবিল সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন।