যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় দেয়া হবে ১২ অক্টোবর। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে অস্ত্র মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করা হয়। এদিন আদালতে পাপিয়া ও তার স্বামীর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চান রাষ্ট্রপক্ষ।
এদিকে দেশে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণা কেলেঙ্কারির মূলহোতা রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় রায় দেয়া হবে আগামীকাল (সোমবার)।
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ধর্ষকদের ধরতে সীমান্তে কড়া নজরদারি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শুদ্ধি অভিযানে গ্রেফতার পাপিয়ার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত এ নেত্রীর বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে চলছে দুর্নীতি, মাদক, জাল টাকা ও অস্ত্র মামলা। রোববার অস্ত্র মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানির জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে তোলা হয় পাপিয়া ও তার স্বামীকে।
কাঠগড়ায় ২ আসামির উপস্থিতিতে আদালত ১২ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এদিন পাপিয়া ও তার স্বামীর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চান রাষ্ট্রপক্ষ।
তারা বলেন, আমরা আশাবাদী এ মামলার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হবে তার। তার সব অপরাধ আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।
এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সবাই পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। যদিও পাপিয়ার আইনজীবীর দাবি খালাস পাবেন তার মক্কেল।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা, দেশি-বিদেশি মুদ্রা, ৭টি পাসপোর্টসহ পাপিয়া দম্পতি গ্রেপ্তারের পর, পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ২০টি গুলি উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এদিকে দেশে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণা কেলেঙ্কারির মূলহোতা রিজেন্টের সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় রায় সোমবার ঘোষণা করবেন বিচারিক আদালত।