নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহন বাসের চালক হেলপার এবং সুপারভাইজার সহ 3 জনের মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেন আদালত। রোববার দুপুরে বিচারক জাফর মোঃ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
ঘটনাটি ঘটে 2018 সালের 21 শে জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের (Hanif transport) বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হন সাইদুর রহমান পায়েল। দুইদিন পর মুন্সিগঞ্জ উপজেলা ভাটেরচর সেতুর নিচে থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, এমনটাই জানান গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ।
মামলার আসামিরা স্বীকার করেন তারা ঘটনার দায় এড়াতে সাইদুর রহমান পায়েল কে হত্যা করেন। আসামিদের জবানবন্দিতে শোনা যায় 22 শে জুলাই ভোরে বাস থেকে নেমে প্রস্রাব করতে রাস্তায় যান পায়েল। বাসে ওঠার সময় দরজার সাথে লেগে আহত হলে এই দায় এড়াতে তিনজন মিলে আহত পায়েলের মুখে থেতলে দিয়ে নদীতে ফেলে দে। তাদের মধ্যবর্তী কোনো কথা কাটাকাটির কথা জানা যায় নি।
পায়েল হত্যা মামলায় গজারিয়া থানা পুলিশ গত ৩রা অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। বিভিন্ন সময়ে 14 জন সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত এই রায় দেন। আসামী পক্ষের ৪ জন সাক্ষী সাফাই হিসেবে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু আসামী পক্ষের এই সাক্ষ্য প্রমাণ কোনো কাজে আসে নি।
পরে মুন্সীগঞ্জের জেলায় এই মামলার বিচারকার্য শুরু হলে পরিবারের আবেদনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এই বিচার কার্যক্রম দ্রুত করার নির্দেশ দেন। সর্বশেষ 2019 সালের নভেম্বরের 18 তারিখে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল 1 এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষ গত 4 অক্টোবর সকলের যুক্তির সাপেক্ষে এ বিচারের রায় ধার্য করেন বিচারপতি মোঃ কামরুজ্জামান। আহত পক্ষের সাক্ষী এবং মামলা দায়ের করা দের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ মামলার রায় দেন বিচারক। মামলার বিচার পড়ার সময় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান। ফাসির কার্যকরের দিন এখনও জানানো হয় নি। তবে শীঘ্রও এই রায় দেওয়া হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
তবে এই মামলার ব্যাপারে হানিফ পরিবহন কোনো কথা বলে নি।