DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাশুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রধানের বিরুদ্ধে কর্মস্থল ফাঁকির অভিযোগ

DoinikAstha
মার্চ ৯, ২০২১ ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ ফরিদ হোসাইন মাসুম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ-

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ বসবাস। সব শ্রেণির মানুষ করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মাঝে দিন যাপন করছে।

 

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল জব্বার এর বিরুদ্ধে কর্মস্থলে ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ০৫/০২/২০২০ইং তারিখে ডাঃ মোঃ আব্দুল জব্বার কোড নং- ১২৯৬৬ পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি নিয়মিত অফিস করেন না।

 

সোমবার সকাল ১১টায় হাসপাতালে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার কর্মস্থল কিন্তু তিনি ৩০ কিলোমিটার দূরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বসবাস করেন। সরকারি গাড়ি নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

এ উপজেলায় করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক পদের এ কর্মকর্তা সপ্তাহে ৩/৪ দিন কর্মস্থলে আসেন না। ফলে এ হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যহত হওয়া সহ জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যান্য দিন তিনি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অর্থাৎ ৪ ঘন্টা কর্মস্থলে থেকে তরিঘরি করে ঠাকুরগাঁও সদরে চলে যান। ফলে ২০ ঘন্টা হাসপাতালটি অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়ে। এ কারণে এলাকার সুশীল সমাজ তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা করেন।

 

রবিবার সরকারিভাবে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার পরিপত্র জারি হলেও এ কর্মকর্তা এসব পরিপত্র বা সরকারি আদেশ মানেন না। অনেক সময় জুনিয়র চিকিৎসকরা ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় প্রতি সপ্তাহে অনেক রোগীকে এ হাসপাতাল থেকে দিনাজপুর/রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে থাকে।

 

এক দিকে রোগীর হয়রানি অপর দিকে মোটা অংকের অর্থ খরচ হচ্ছে রেফার্ডকৃত রোগীদের। স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার কর্মকান্ডে স্বাস্থ্য বান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

আরো পড়ুন :  বেনাপোলে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের ভোগান্তি

 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল জব্বার জাগো প্রতিদিনকে জানান, আমার এখানে অনেক চিকিৎসক আছে। রোগীর চিকিৎসা তো চিকিৎসকরাই দিবেন। আমার থাকা ও না থাকা নিয়ে কি সমস্যা। তিনি আরো জানান এ হাসপাতালে আমার নির্দিষ্ট কোন রেসিডেন্স নেই। ফলে রাত্রি যাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। জনস্বার্থে বিষয়টি এলাকার সর্বস্থরের জনগণ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০