পূর্বধলায় আইনজীবীকে কুপিয়ে জখম, আটক-২
আব্দুর রহমান ঈশান/নেত্রকোণা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার পূর্বধলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে অ্যাডভোকেট আল আমিন হোসেনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় করা মামলায় দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে, গত রোববার রাতে পূর্বধলা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, উপজেলার এরুয়ারচর গ্রামের রহুল আমিন (৫৫) ও তার ছেলে সাঈদ (১৮)।
অ্যাডভোকেট আল আমিন হোসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি। তিনি জেলা শহরে বসবাস করেন। তার বাড়ি পূর্বধলা উপজেলার এরুয়ারচর গ্রামে। আল আমিন বর্তমানে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার
(২৮ জুন) পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পূর্বধলায় নিজ গ্রামে যানে আল আমিন। ঈদের পরদিন শুক্রবার বাড়ির রাতে চা খেতে বাজারে যান তিনি। চা খেয়ে পরিচিতদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বাড়ি ফেরার পথে কুড়িকুনিয়া স্লুইস গেট এলাকায় পৌঁছালে গ্রামের রুকন, সাইকুল, আনোয়ার, রুহুল আমিন ও সাঈদসহ ২০-২৫ জন রামদা-দা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকারে আজিজুল হক, ইমন ও নুরুল হকসহ ৭-৮ জন বাঁচাতে আসলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। পরে আশপাশের আরও লোক এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট আল আমিন হোসেন বাদী হয়ে রুকন, সাইকুল, আনোয়ার, রুহুল আমিন ও সাঈদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
অ্যাডভোকেট আল আমিন হোসেন বলেন, হামলাকারীদের সাথে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। ঈদে বাড়িতে আসায় তারা আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। রাতে ওঁৎ পেতে থেকে দা-রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিত হত্যার হামলা চালায়। চিৎকার শুনে যারা বাঁচাতে এসেছিল তাদেরও কুপিয়ে জখম করেছে। পরে আশপাশের লোকজন চলে আসায় হামলাকারীরা পিছু হটে।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।