চিকিৎসকরা হৃদরোগ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীদেরকে পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন। কেননা পেঁপে এমন একটি স্বাস্থ্যকর ফল, যা সারা বছরই পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুই অবস্থাতেই পেঁপে খেয়ে থাকেন সবাই। অনেকেই আবার গরমে আরাম পেতে পাকা পেপের জুস খেয়ে থাকেন।
পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন নামক এনজাইম খাদ্যের বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেঁপে ত্বক ও চুলের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। তবে উপকারিতার সঙ্গে সঙ্গে এর রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিকও! যা বয়স্কদের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক পেঁপে খাওয়া যাদের জন্য বিপজ্জনক:
১. ডায়াবেটিস রোগীর জন্য পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। এতে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
তবে বেশি পরিমাণে পেঁপে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিপজ্জনক। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পেঁপে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থায় নারীদের পেঁপে খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেন। পেঁপের বীজ, শিকড় এবং পাতা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
কাঁচা পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন দেহের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়াও পেঁপে ল্যাটেক্সসমৃদ্ধ, যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত এবং এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
৩. চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়। পেঁপেতে অনেক ফাইবার থাকে, যা ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে।
কারণ শিশুরা কম পানি পান করে। এতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই কাঁচা অথবা রান্না কোনো অবস্থাতেই শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়।
৪. যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য পেঁপে ক্ষতিকর। পেঁপেতে উপস্থিত একটি এনজাইমকে অ্যালার্জেন বলে। এর অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা যেমন হাঁপানির মতো সমস্যা বাড়তে পারে।
৫. হজমের সমস্যা বাড়ায় পেঁপে। কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাধারণত পেঁপে খেতে বলা হয়। তবে অতিরিক্ত খেলে এতে উপস্থিতি পেটে জ্বালা-পোড়া ভাব এবং ব্যথা হতে পারে।
এতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ফাইবার হজম সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে, পেঁপে অতিরিক্ত খেলে ফোলাভাব, পেট ফাঁপা এবং বমিভাব হতে পারে।