মেহেদি হাসান নয়ন,
ফকিরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের ফকিরহাটে লাইসেন্সকৃত শটগান গোলাবারুদ সহ চুরির ঘটনা একমাস অতিবাতি হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া শটগান ও গোলাবারুদ। তবে চুরি নিয়ে এখনো দ্বিধা রয়েছে সচেতন মহলের।
উল্লেখ্য,ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের আট্রাকী গ্রামের বাসিন্দা শাহ জামান চৌধুরী লরের লাইসেন্সকৃত শটগান গোলাবারুদ সহ চুরি হয়ে যায়। গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ চুরির ঘটন্স ঘটে। তবে শুধু গোলাবার“দ নই সাথে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন ও চুরির তালিকায় রয়েছে।
এব্যাপারে শাহ জামান চৌধুরী লরে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরও করেন। যার নং-২২,তাং-৩০/০৯/২০২০ইং। মামলার এজহারে শাহ জামান চৌধুরী লরে উল্লেখ করেন, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। ঘুমাতে যাবার পূর্বে তার লাইসেন্সকৃত শটগান ও তিনটি বুলেট খোলা বুলেট তার বালিশের পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন।
সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তিনি মাথার পাশে রাখা শটগান, বুলেট ও ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন দেখতে না পেয়ে অনেক খোজাখুজি করেও পাননা। তার ধারণা মতে রাত ২ টা থেকে সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যকার সময়ে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা এই চুরি সংগঠিতে করেন।মামলার এজাহারে তিনি আরো উল্লেখ করেন, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘুমাতে যান তার দ্বিতল বাড়ির ২য় তলার উত্তর-পূর্ব পাশের রুমে। সেদিন তিনি তার রুমের থাই গ্লাস লাগানো গ্রীলের জানালার ছিটকানি না লাগিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। আর সেই সুযোগেই চোর বা চোরেরা থাই গাস লাগানো গ্রীলের জানালা দিয়ে এই চুরি সংগঠিত করে।
মামলার এজাহারে শাহ জামান চৌধুরী লরে যেভাবে চুরির ঘটনা বর্ণনা করেছেন তা নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে রহস্যের বেড়াজাল সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তি বলেন, যে জানালা দিয়ে চুরির কথা শুনছি সেই জানালা দিয়ে শটগান বের করে নেওয়া এতটা সহজ ব্যাপারনা।কেননা জানালার গ্রীলের পাত এর পার্থক্য সামান্য। তার ভিতর থেকে শটগান বের করা সম্ভব না।
তাছাড়া অনেকেই সচেতন মহলের দাবী এভাবে অযৌক্তিক চুরির বর্ণনা মেনে নেওয়া কষ্টকর ব্যাপার। এই মুহুর্তে অনেকেই রয়েছেন আতঙ্কিত। সচেতন মহলের দাবী এটা চুরি নাকি চুরির নাটক তা দ্রুত উদঘাটন করে জনমনে স্বিিস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের দ্রুত সমাধানকল্পে কাজ করা উচিৎ।
শাহ জামান চৌধুরী লরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং ফোন কেটে দেয়। পরবর্তীতে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ মোঃ খায়রুল আনাম বলেন,চুরির ঘটনায় একটি দায়ের করা হয়েছে।স্পট পরিদর্শন করেছি। আমাদের তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।যার জন্য আগে থেকে কোন কিছুই সঠিক ভাবে বলা সম্ভব না।আশা করি খুব দ্রুতই তদন্ত শেষে বিস্তারিত উপস্থাপন করতে পারবো।
শাহ জামান চৌধুরী লরে তুর্কির তৈরী বার বোর এর ১৭৭৫৯ শটগান ক্রয় করে। যার লাইসেন্স নং-০৬/২০১৬।যা গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চুরি হয়ে গেছে বলে ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এক মামলা করেই নিরব ভ্থমিকায় আছেন, শাহ জামান চৌধুরী লরে। আর এই শটগান দ্রুত উদ্ধার করা না গেলে ভবিষৎ এ বড় ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালিত হতে পারে বলে ধারণা সচেতন মহলের।