গাজা যুদ্ধের সময় ধরে আনা এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে প্রচণ্ড নির্যাতনের অভিযোগে ৯ সেনাকে আটক করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার (২৯ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সেনাদের আটক করা হয়।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরেই সডে তেমেন সেনাঘাঁটিতে গাজা থেকে ধরে নিয়ে আসা বন্দীদের ওপর নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় প্রথমবার আনুষ্ঠানিক তদন্তে ওই ৯ রিজার্ভ সেনার বিরুদ্ধে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএ-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সেডে তেমেনে বন্দিরা অভিযোগ করেছেন, তারা ইসরায়েলি হেফাজতে থাকাকালীন প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার ও অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন।
যদিও বন্দীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের কথা অস্বীকার করেছে সামরিক বাহিনী। তারা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বন্দীদের সেডে তেমেন থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ঘাঁটিকে আরও উন্নত করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে তাদের অনেককে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বন্দীকেই সেডে তেমেনে এনে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও।
যে ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে ভয়াবহ যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অভিযুক্ত সেনাদের আটক করতে সেডে তেমেন সেনাঘাঁটিতে প্রবেশ করলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। ওই সেনাদের পক্ষে বিক্ষোভ করে কট্টর ডানপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। বিক্ষোভকারীরা এক সময় সেনাঘাঁটিতেও ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে।
সেনাদের পক্ষে আরেকদল বিক্ষোভকারী ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের বাইৎ লিড সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। আটক ওই সেনাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই সামরিক ঘাঁটিতেই নিয়ে আসার কথা।