ফুলবাড়ীয়ায় শ্মশান দখল করে মুরগীর ফার্ম নির্মাণের অভিযোগ
মোঃ হাবিব/ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার চাঁদপুর গোবিন্দপুর ও চৌদারসহ ৩টি গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় শ্মশান বেদখলের অভিযোগ স্থানীয় মোঃ মোশারফ হোসেন গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার ও দীর্ঘদিনের পুরনো শ্মশানটি রক্ষার দাবিতে শ্মশান কমিটির সভাপতি শ্রী চিত্ত রঞ্জন শীল উপজেলা নির্বাহী শ ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বাকতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চাঁদপুর বাজার সংলগ্ন শ্মশানে চাঁদপুর, গোবিন্দপুর ও চৌদার এলাকার লোকজন তাঁদের পূর্বপুরুষদের আমল থেকে মৃতদেহ সৎকার করে আসছেন। সম্প্রতি অভিযুক্ত মোশারফ হোসেনরা শ্মশানের জমি বেদখলের পায়তারা করে সেখানে ১শ ২০ ফুট লম্বা দৈর্ঘের একটি মুরগীর ফার্ম নির্মাণ কাজ শুরু করে। শ্মশানের জমিতে নির্মাণ বন্ধে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাঁধা প্রদান করলে তাঁদেরকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে জতিন্দ্র রবিদাস জানান।
প্রবাস চন্দ্র সুত্র ধর জানায়, আমরা আমাদের বাপ দাদাদের এখানে দাহ করতে দেখেছি। পরবর্তীতে আমরাও দাহ করি। দীর্ঘ দিনের পুরনো এ শ্মশান বেদখল করে ফেললে আশ-পাশের ৩টি গ্রামের কয়েক শতাধিক হিন্দু পরিবারের সৎকার করা দুস্কর হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের জোড়ালো হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, হিন্দুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও স্যার আমাকে সেখানে ফার্মের নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। আমি হিন্দুদের নিয়ে কাজ করতে বারণ করলে তাঁরা আমার কথা শুনেনি । উল্টো তাঁরা হিন্দুদের আরও মারধরের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের হুমকি অস্বীকার করে বলেন, আমরা হিন্দুদের কেন হামল করবো? শ্মশানের যে জায়গা এটি আমার দাদা মৌখিকভাবে হিন্দুদের সৎকারের জন্য দিয়েছে। আমরা শ্মশানের জায়গায় কোন ঘর উঠাইনি। আমি যেখানে ঘর উঠাচ্ছি এটি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে, আদালত আমাদের কাজের অনুমতি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে। গতকাল হিন্দু কমিউনিটির লোকজনদের ডেকে ছিলাম, তাঁরা আসে নি। আজ আমরা ঘটনাস্থলে যাবো।