নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে দেশটি ফেসবুক ও টুইটার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রসকোমনাডজর এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এ ছাড়া বন্ধ হয়েছে ইউটিউব, টিকটক ও টেলিগ্রামের মতো সামাজিক পরিষেবা।
এর আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ফেসবুক ও তার সহযোগী প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম থেকে আরটি ও স্পুটনিকের মতো রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম সরিয়ে দেওয়া হয়, শুক্রবার একই ব্যবস্থা নেওয়া হয় যুক্তরাজ্যে।
এ পদক্ষেপের দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করলো রাশিয়া।
রসকোমনাডজরের পর্যবেক্ষকেরা জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে রাশিয়ার মিডিয়ার বিরুদ্ধে ফেসবুক বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে এমন ২৬টি কেস তারা পেয়েছে। যার সঙ্গে আরটি ও আরআইএ-এর মতো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপও যুক্ত।
গত সপ্তাহে ফেসবুক ‘আংশিক’ ব্লক করার ঘোষণা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তখন বলা হয়, প্ল্যাটফর্মটি ‘রাশিয়ান নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা’ লঙ্ঘন করেছে।
এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকের প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, এ ঘটনায় লাখ লাখ সাধারণ রুশ নির্ভরযোগ্য তথ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বঞ্চিত হবে। এর অর্থ হলো, ‘কথা বলা থেকে নীরব হয়ে যাওয়া’। পরিষেবা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিকে রুশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে ‘ভুয়া খবর’ প্রচার করলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে শুক্রবার আইন পাশ করেছে রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষ দুমা।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, মোট ৪০১ জন আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন, বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি কেউ। শনিবার উচ্চকক্ষে অনুমোদন পেলে আইনটি কার্যকর করা হবে।
এছাড়া আগেই দেশটিতে বিবিসি, ডয়েচ ভেলে, ব্লুমবার্গের মতো সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মেডুজা ও রেডিও লিবার্টির প্রচার।