চিরচেনা চাঁদকে একটু ভিন্নরূপে দেখার সুযোগ পাবেন রোববার মধ্যরাতে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বড় আকারের এই চাঁদ সুপারমুন নামে পরিচিত। এটাই ২০২১ সালের প্রথম ‘সুপারমুন’।
এক বিবৃতিতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে চাঁদ। তার ফলে তা আমাদের চোখে হয়ে যাবে ‘সুপারমুন’। ওই সময় পৃথিবীর দ্রাঘিমাংশ অনুযায়ী চাঁদ আর সূর্য থাকবে একে অন্যের ঠিক বিপরীতে।
নাসা আরও জানিয়েছে, রাতের আকাশে বেশ বড় আকারের চাঁদ দেখতে পাওয়ার সুযোগ মিলবে এ বার টানা ৩ দিন ধরে। শনিবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এমন বড় আকারের চাঁদের নাম ‘সুপারমুন’ দেয়া হয় ১৯৭৯ সালে।
মহাজাগতিক নিয়ম মেনে এ দিন চাঁদ চলে আসবে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি। এটিই হবে ২০২১ সালের প্রথম সুপারমুন। জ্যোতির্বিদের মতে, এ দিন স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে সুপারমুনের সময় চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে।
উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবী থেকে চাঁদের এই নিকটতম অবস্থানকে অনুভূ বা পেরিগি বলা হয়। পেরিগি অর্থ হচ্ছে ‘পৃথিবীর নিকটতম’। পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় এই চাঁদকে স্বাভাবিক পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় বড় ও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
সুপারমনের সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থান করবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০২ কিলোমিটার। সুপারমুনের ঔজ্জল্য থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে ১২ দশমিক ৫ ভাগ থেকে ১৪ দশমিক ১ ভাগ বেশি।
চাঁদের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পৃথিবীবাসী যেমন প্রহর গুনছেন, তেমনি রয়েছে ‘সুপারমুন’ আতংকও। চাঁদ পৃথিবীর কাছে আসলে প্রতিবারই পৃথিবীতে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। প্রবল জোয়ারের টানে অনেক সময় ডুবে যায় জাহাজ।
২০১১ সালের ১৯ মার্চ ‘সুপারমুন’ রাতে ইংল্যান্ডের সোলেন্ট সাগরে ভাসমান পাঁচটি বড় জাহাজ কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাগরের অতল গহ্বরে তলিয়ে যায়।