যমুনা, ধলেশ্বরীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছেন লাখ লাখ মানুষ। রয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এ অবস্থায় সরকারি সহয়তা চান বানভাসিরা।
টাঙ্গাইল সদরসহ ৬টি উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় হুহু করে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। সড়ক ছাপিয়ে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়িও। দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটি রাস্তা আর কোনটি নদী। হাঁটু পানি মাড়িয়ে আর নৌকায় কোরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ডুবে আছে ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি। এ অবস্থায় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বন্যা দুর্গতরা।
বানভাসি এক ব্যক্তি বলেন, ফসলের মাঠ তো দূরে থাক, রাস্তাঘাটেও পানি উঠে গেছে। তলিয়ে গেছে বাড়ি। কামাই রোজগার নাই। খুব কষ্টে আছি।
অপর এক ব্যক্তি বলেন, আমরা আটকে গেছি। শহরের যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নাই। যেখানে যাচ্ছি সবখানে নৌকায়। সব কিছুতে খুব অসুবিধায় আছি।
যমুনার উপচে পড়া পানিতে দিশেহারা বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা এবং ধুনট উপজেলাবাসী। ঘরবাড়ি নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। ভোগান্তির যেন শেষ নেই বানভাসিদের। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এসব উপজেলার ৯০ হাজার হেক্টর জমির মাশকালাই এবং রোপা আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
বন্যার বানিতে বাড়ি ডুবে যাওয়া ব্যক্তি বলেন, গত ৮ দিন ধরে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছি। কোনো কাজ নেই। আয়ও নেই। বাড়ি ডুবে গেছে, এবার না খেয়ে মরতে হবে।
এছাড়া সিরাজগঞ্জেও বন্যার পানিতে কোণঠাসা মানুষ। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে তারা। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা এখন তাদের।