আন্তর্জাতিক ডেস্ক:৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শীতলতম রাত প্রতক্ষ করেছে ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের জনগণ। মারাত্মক শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় অঞ্চলটির রাজধানী শ্রীনগরসহ অন্যান্য এলাকায় এই তীব্র শীত অনুভূত হয়। এদিকে শৈত্য প্রবাহের কারণে উপত্যকাটির ঐতিহ্যবাহী ডাল লেক পরিণত হয় বরফে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ১৯৯১ সালে শ্রীনগরে তাপমাত্রা মাইনাস ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। কিন্তু বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। লেকে বরফ জমে যাওয়ায় সেখানকার মানুষকে নদীর মাঝখানে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়।
দেশটির আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ১৮৯৩ সালে। এছাড়া ১৯৯৫ সালে একবার সেখানকার তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের বার্ষিক তীর্থ যাত্রা অমরনাথ যাত্রার বেস ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার হওয়া পাহালগামে এ দিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি। তার আগের রাতে তা ছিলো মাইনাস ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি। পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গে আগের দিন রাতে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও বুধবার রাতে সেখানে তাপমাত্রা ছিলো মাইনাস ২ ডিগ্রি।
উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর কোকারনাগে রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতের কারণে সেখানে পানি সরবরাহ লাইন বরফে পরিণত হওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে পানি সরবরাহ। উপত্যকার বিভিন্ন সড়কে জমে যাচ্ছে বরফের স্তর। ফলে গাড়ি চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চালকেরা।