বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লোকেরা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কোলন ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন। এমনকি ব্যাকপেইন, রক্ত জমাট বাঁধা, হাড়ের ভঙ্গুরতা, হতাশা ও স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
করণীয়: কর্মজীবনে পরিবর্তন আনা খুব একটা সহজ নয়। তবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু কাজ করতে পারেন।
১. প্রতি ৩০ মিনিট পর পর কাজে বিরতি দিতে হবে বা উঠে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। অনেকে চেয়ারে বসার পর টয়লেটে পর্যন্ত যাওয়ার কথা ভুলে যান। নিয়মিত বিরতি নিয়ে অফিসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে হবে।
২. মোবাইলে কথা বলার সময় উঠে দাঁড়ান। একঘণ্টা বসে থাকার চেয়ে কেবল দাঁড়ানোতেই বাড়তি ৫০ ক্যালোরি ক্ষয় হয়।
৩. অফিসে উঠার সময় লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। বিজ্ঞানীদের মতে, ৩০ মিনিট হালকা কাজ ৩ মিনিট ভারী কাজ করার সমান। দুপুরে ডেস্কে না খেয়ে খাবার রুমে খাওয়া উচিত। বাইরে হাঁটার ফলে হালকা ব্যায়ামও হবে। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে এবং শরীরের ক্যালোরিও দ্রুত ক্ষয় হয়।
৪. দৈনিক তিন ঘণ্টা হালকা হাঁটাচলার (যেমন- চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানো) ফলে বছরে ৮ পাউন্ড চর্বি পুড়ে। ১০ ম্যারাথন দৌড়ে যতটুকু চর্বি পুড়ে তার সমান। গবেষকদের মতে, এতে কাজের গতিশীলতাও বাড়ে।
৫. সহকর্মীর ডেস্কে যান। একই অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে ফোন বা মেইলে যোগাযোগের চেয়ে সরাসরি তার রুমে যেতে পারেন।