বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার উপর শুনানি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে আরও নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন পন্থা অব্যাহত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির মার্কিন সিনেটের টম ল্যান্টোস মানবাধিকার সংগঠন। কমিশনে (টিএলএইচআরসি) বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতে হওয়া শুনানিতে এ আহ্বান জানানো হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) শুনানিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
শুনানিটি আয়োজন করেন কংগ্রেসম্যান ও টিএলএইচআরসি কো-চেয়ার জেমস পি ম্যাকগভের্ন এবং কংগ্রেসম্যান ও টিএলএইচআরসি কো-চেয়ার ক্রিস্টফার এইচ স্মিথ। শুনানি পরিচালনা করেন কংগ্রেসের আইন গ্রন্থাগারের বৈদেশিক আইন বিশেষজ্ঞ তারিক আহমেদ। শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন ও এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টারের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের ক্রিস্টি উয়েদা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) সিনিয়র এশিয়া গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ড। এইচআরডব্লিউর জুলিয়া ব্লেকনার ছাড়া সবাই লিখিত বক্তব্য রাখেন।
শুনানিতে অংশ নেওয়া মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা জানান, রাজনৈতিক সহিংসতা এখনও বেশি হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক সমাবেশ প্রায়ই আন্তঃদলীয় সহিংসতায় পরিণত হয় এবং বিরোধী দলের বিক্ষোভ প্রায়ই পুলিশি দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়।
ক্রিস্টি উয়েদা বলেন, ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাব ও এর কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেই সঙ্গে চলতি বছরের মে মাসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ভিসা নীতি ঘোষণা করে। আমরা বিশ্বাস করি, যতক্ষণ না বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের লঙ্ঘনের তদন্ত ও সমাধানের জন্য নিরপেক্ষ ও কার্যকর জবাবদিহি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না। সেই সঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী যারা একই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের মতো ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার সুশীল সমাজ সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক এবং সরকারের সমালোচক বলে বিবেচিত অন্যদের নাগরিক স্থান বন্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই ব্যক্তি এবং তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতিশোধমূলক গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের শিকার হয়েছে। এসব করেও কর্মকর্তারা তাদের অসদাচরণের জন্য দায়মুক্তি ভোগ করেছেন। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের অবক্ষয় অব্যাহত রয়েছে।