শরীফ হাসান, ঢাকা জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ বাদুর জুলে ডালে ডালে আর কেরানীগঞ্জের মানুষ ঝুলে নিলয় পরিবহনে । তাদের বাপ-দাদা কিংবা পূর্বপুরুষদের জমিতেই গুলিস্তান-নবাবাগঞ্জ-দোহার আঞ্চলিক মহাসড়কসহ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক। চোখের সামনে দিয়ে চলে সরকারি বাসসহ কয়েকটি কোম্পানির হাজার হাজার যাত্রীবাহী বাস-মিনিবস।বাদুর জুলে ডালে ডালে আর কেরানীগঞ্জের মানুষ ঝুলে নিলয় পরিবহনে ।
অন্যের আয়েশি যাতায়াত তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের। আর কোনও মতে গাড়ীতে উঠা গেলেও বাদুড় ঝুলা করে, বাসে থাকা যাত্রীদের নানা কথা শুনে অস্বাভাবিক ভাড়ায় কর্মস্থলে যেতে হয় তাদের।
রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প:রাশিয়া থেকে এলো প্রথম পরমাণু চুল্লিপাত্র
বলছি কেরানীগঞ্জ উপজেলার রুহিতপুর, কলাতিয়া, হযরতপুর, শাক্তা, বাস্তাসহ পাশের সিরাজদিখান, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগের কথা।
এছাড়া রুহিতপুর থেকে গুলিস্তান ছেড়ে যাওয়া নিলয় পরিবহনের গাড়ীগুলোত আরও বিপদজনক! যে হেলপার সেই চালক!
এটা মালবাহী গাড়ী না যাত্রীবাহী বুঝারও নেই কোন উপায়। মহিলা, শিশু কিংবা রুগীদের কথা তো বাদই দিলাম সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায় অতিরিক্ত চাপাচাপির কারনে। তার মধ্যে চলছে দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনা ভাইরাসের প্রদরভাব। ৪/৫ জনের সিটে বসানো হয় ৬/৭ জন। ড্রাইভারের পাশে একজন, বামপাশে দুইজন আর পিছনে বাদুড় ঝুলা আরও পাঁচ থেকে ছয়জন! এ যেন ধম বন্ধ প্রিজনভ্যান
এই রোডের দুর্ভোগ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম ইতোপূর্বে সংবাদ প্রচার করলেও কাজের কাজ হয়নি। টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। এই রোডে নতুন বাস আসছার কথা থাকলেও তার কোন প্রস্তুতি চোখে পড়েনি।
রুহিতপুর বাজার থেকে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ক্ষোভ করে বলেন, ৩০/৪০ কিলোমিটার দূর থেকে নবাবগঞ্জ দোহারের মানুষ সকালে বাসে করে যেয়ে অফিস- আদালত করে আর আমরা কেরানীগঞ্জবাসী লাইনে দাঁডিয়ে থাকতে থাকতেই সময় চলে যায়। আর নিলয় পরিবহনের করে পরিবার পরিজন নিয়ে যাওয়াত দূরের কথা নিজের কাপড়চোপড়ই নষ্ট হয়ে যায়। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
পাশের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী মুস্তাফিজুর রহমান তিনিও এই একই কথা বলেন। ঢাকা বিসিক শিল্পনগরী থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালুর আকুতি জানান এই নিয়মিতরা যাত্রী।
ভুক্তভোগী জনসাধারণের চাওয়া একটাই নবাবগঞ্জ- গুলিস্তান রোডের বাসগুলোতে ন্যায্য ভাড়ায় সীট অথবা রুহিতপুর- গুলিস্তান রোডে চলাচলকারী লক্কর ঝক্কর নিলয় পরিবহনের পরিবর্তে নতুন বাস বা মিনিবাস চালু করা।