ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। রায়ের দিন আজ আদালতে যাওয়ার আগে বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজনকে সে কথা বলছিলেন তিনি।
চোখ মুখে চিন্তার ছাপ থাকলেও পরিবারের লোকজনকে আশার বাণী শুনিয়েছেন মিন্নি। বাবার সঙ্গে আদালতের উদ্দেশে বের হওয়ার সময় বাবা-মাকে বলেছেন, তিনি নির্দোষ, খালাস পাবেন। চিন্তা না করতে মা-বাবাকে বারণ করেছেন রিফাতের স্ত্রী মিন্নি।
বুধবার বরগুনা জেলা জজ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর।
‘সকাল থেকে মিন্নি একটা কথাই আমাকে বারবার বলছে, বাবা আমি নির্দোষ আমি খালাস পাব। তুমি চিন্তা করো না। আমিও বিশ্বাস করি, মিন্নি অপরাধ করেনি সে খালাস পাবে।’
কিশোর আরও বলেন, মিন্নি আমাকে বলেছে, বাবা আমি অপরাধ করিনি। তুমি চিন্তা করো না। আমি মুক্ত হয়ে যাবো।
কিশোরের ভাষ্য, মিন্নি তার মেয়ে, সে অনেক শক্ত মনের অধিকারী। মিন্নি ভয় পাচ্ছে না। কারণ সে কোনো অপরাধ করেনি। সে বেকসুর খালাস পাবে। যদি তা না পায়। তাহলে তিনি উচ্চ আদালতে যাবে। সেখানে সুবিচার পাবেন এমন আশা কিশোরের।
গত বছর বরগুনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করার চাঞ্চল্যকর মামলায় প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামির রায় আজ। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামি হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। গত বছরের ২ জুলাই রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড (২৫) পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
মিন্নি ছিলেন এ মামলার সাক্ষী। পরে তাকে এ মামলার আসামি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।