এল ক্লাসিকো মানে সবসময়ই অনন্য কিছু। ডাগ আউটে কোচদের চিন্তা, উত্তেজনা।
মাঠে প্লেয়ারদের মধ্যে হাতাহাতি যেন আগে নিত্যদিনের ঘটনাই ছিল। তবে গত কয়েক বছরে বদলেছে এই অবস্থা। এখন প্লেয়ারদের মধ্যে হাতাহাতি একটু কমই হয়।এরপরেও এবারের ক্লাসিকো ছিল একটু ভিন্নরকম। ইতিহাসে এই প্রথমবারই যে দর্শকহীন ক্লাসিকো দেখলো বিশ্ব। করোনার পর ফুটবল ফিরলেও করোনার আগেই ক্লাসিকোর ২ ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
একে তো দর্শকহীন ক্লাসিকো, তার উপর আবার লড়াই টা ছিল এগিয়ে যাওয়ার। ক্লাসিকো তে আজকের আগে যে ২ দলেরই জয় ছিল ৯৬ টা করে। বিতর্কিত ম্যাচে দর্শকহীন মাঠে জয়টা মাদ্রিদেরই হয়েছে।
৯০০ দিন পেরিয়ে গেল, এল ক্ল্যাসিকোয় গোলশুন্য মেসি
প্রথমার্ধের মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় বেনজেমার বল থেকে মাদ্রিদ কে এগিয়ে দেন ভালভার্দে। ৩ মিনিট পর মেসির ক্রস থেকে বল পায় জর্দি আলবা, তার থেকে বল পেয়ে দল কে সমতায় ফেরান বার্সার তরুন ফুটবলার আনসু ফাতি। সিজনে এখন পর্যন্ত বার্সার হয়ে ৫ গোল করে ফেলেছে এই বিস্ময় বালক। এল ক্লাসিকোতেও এখন সর্বকনিষ্ঠ গোল স্কোরার আনসু ফাতি। প্রথমার্ধে এরপর বলার মত আর কোন আক্রমণ হয়নি। যদিও একবার চান্স পেয়েছিল বেনজেমা কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন নেতো। মেসি একবার রামোস কে কাটিয়ে ডান পায়ে শট নিলেও তা ঠেকিয়ে দেন থিবো কর্তোয়া।
প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আক্রমণের ধার বাড়ায় বার্সেলোনা কিন্তু গোল মুখে শট করার সুযোগ পায় না। উলটো ৬০ মিনিটে রামোস কে ফাউল করে মাদ্রিদ কে পেনাল্টি উপহার দেয় ক্লেমেন লেংলেট। তাকে হলুদ কার্ডও দেয় রেফারি।
এই গোলের পর মাদ্রিদের আক্রমণের ধার বেড়ে যায়। অবশ্য বার্সাও পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল তবে ব্যর্থ হয় মাদ্রিদের ডিফেন্সের জন্য। ম্যাচের ৮২ মিনিটে এক সাথে ৩ জন আক্রমণ ভাগের প্লেয়ার নামায় বার্সেলোনা তবে তা ম্যাচে বার্সার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে নি। উলটো শেষ সময়ে মদ্রিচ বার্সার বিরুদ্ধে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন। খেলার শেষ সময় হলুদ কার্ড দেখেন মেসি।
এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচ খেলার রেকর্ড করেন মাদ্রিদের ক্যাপ্টেন সার্জিও রামোস।
খেলা শেষে রিয়াল বেতিসের অফিশিয়াল পেইজ থেকে খোঁচা দেয় মাদ্রিদের পাওয়া বিতর্কিত পেনাল্টি কে। রামোস যেভাবে লেংলেটের কাছ থেকে জার্সি টানার কারনে পেনাল্টি পেয়েছে একই ভাবে বেতিসের এক ফুটবলারের জার্সিও টেনে ধরা হয়েছিল কিন্তু রেফারি কোন কার্ড দেয়নি মাদ্রিদের প্লেয়ার কে কিংবা পেনাল্টি দেয়নি বেতিস কে।