ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ Logo সীমান্ত কার্যক্রম নিয়ে প্রেস বিফ্রিং করেছে পানছড়ি বিজিবি

বালিশ-তোশকের দাম ১২ লাখ টাকা!

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১০৫১ বার পড়া হয়েছে

সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিতে সুযোগসন্ধানী এক ব্যক্তি একটি বালিশ ও একটি তোশকের দাম নির্ধারণ করলেন ১২ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের প্রয়াত হানিফার ছেলে বাদাঘাট বাজারের কথিত ব্যবসায়ী নূর মিয়ার এমন প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।

খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সরেজমিন থাকা ব্যবসায়ীরা ওই কথিত ব্যবসায়ীর প্রতারণার কৌশল বুঝতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে  অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে বুধবার রাতে একটি মার্কেটে আগুন লেগে চার ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পুড়ে যাওয়া চার ব্যবসায়ীর গুদামের পাশে ছোট একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাতযাপন করতেন কথিত ব্যবসায়ী নুর মিয়া। তার কক্ষে কোনোরকম মালামাল না থাকলেও ভাঙা খাটের ওপর রাখা একটি বালিশ ও কভার, চাদর ছাড়া ছোট আকৃতির একটি তোশক আগুনে পুড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরেজমিন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দেখতে পরিদর্শনে যাওয়ার পর কথিত ব্যবসায়ী নিজের পুড়ে যাওয়া বালিশ তোশক দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারি সহায়তা দাবি করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি সদস্য রইছ উদ্দিন, রয়েল মিয়াসহ অন্যরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নুর মিয়ার কোনো মালামালই পুড়েনি, তার শয়ন কক্ষে একটি বালিশ আর তোশক ছাড়া কিছুই ছিল না। তিনি প্রতারণা করছেন সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিতে।

পরে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রশাসনের সামনে থেকে কৌশলে দ্রুত সটকে পড়েন বালিশ তোশকের মনগড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণকারী সেই চতুর কথিত ব্যবসায়ী নুর মিয়া।

সরেজমিন থাকা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন, জাহের মিয়া বলেন, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের বালিশ কাণ্ডকেও হার মানিয়েছেন বালিশ তোশকের ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকার দাবিদার নুর মিয়া।

খোদ ইউএনও মো. রায়হান কবির নিজেও এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
[irp]

বালিশ-তোশকের দাম ১২ লাখ টাকা!

আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিতে সুযোগসন্ধানী এক ব্যক্তি একটি বালিশ ও একটি তোশকের দাম নির্ধারণ করলেন ১২ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের প্রয়াত হানিফার ছেলে বাদাঘাট বাজারের কথিত ব্যবসায়ী নূর মিয়ার এমন প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।

খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সরেজমিন থাকা ব্যবসায়ীরা ওই কথিত ব্যবসায়ীর প্রতারণার কৌশল বুঝতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে  অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে বুধবার রাতে একটি মার্কেটে আগুন লেগে চার ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পুড়ে যাওয়া চার ব্যবসায়ীর গুদামের পাশে ছোট একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাতযাপন করতেন কথিত ব্যবসায়ী নুর মিয়া। তার কক্ষে কোনোরকম মালামাল না থাকলেও ভাঙা খাটের ওপর রাখা একটি বালিশ ও কভার, চাদর ছাড়া ছোট আকৃতির একটি তোশক আগুনে পুড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরেজমিন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দেখতে পরিদর্শনে যাওয়ার পর কথিত ব্যবসায়ী নিজের পুড়ে যাওয়া বালিশ তোশক দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারি সহায়তা দাবি করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি সদস্য রইছ উদ্দিন, রয়েল মিয়াসহ অন্যরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নুর মিয়ার কোনো মালামালই পুড়েনি, তার শয়ন কক্ষে একটি বালিশ আর তোশক ছাড়া কিছুই ছিল না। তিনি প্রতারণা করছেন সরকারি সহায়তা হাতিয়ে নিতে।

পরে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রশাসনের সামনে থেকে কৌশলে দ্রুত সটকে পড়েন বালিশ তোশকের মনগড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণকারী সেই চতুর কথিত ব্যবসায়ী নুর মিয়া।

সরেজমিন থাকা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন, জাহের মিয়া বলেন, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের বালিশ কাণ্ডকেও হার মানিয়েছেন বালিশ তোশকের ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকার দাবিদার নুর মিয়া।

খোদ ইউএনও মো. রায়হান কবির নিজেও এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
[irp]