বিএনপি আর টিআইবির ভাষা মিলে গেছে-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির মুখে অস্ত্র তুলে দিতেই টিআইবি’র প্রতিবেদন।
আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজ্ঞজনেরা বলছেন- বিএনপিসহ যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনও প্রয়াস চালাচ্ছে, তাদের মুখে অস্ত্র তুলে দেয়ার জন্যই টিআইবি এমন প্রতিবেদন দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী সাহেব প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে যে কথাগুলো বলেন, সেগুলোকেই একটু পরিশীলিতভাবে টিআইবি পরিবেশন করেছে। বিএনপি আর টিআইবির ভাষা মিলে গেছে। সে কারণে টিআইবি’র এই রিপোর্ট আসলে কারও পক্ষের হয়ে দেয়া কি না- সেই প্রশ্নই রেখেছেন অনেকে।
হাছান মাহমুদ বলেন, টিআইবি’র একটি রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। টিআইবি সবসময় গবেষণালব্ধ রিপোর্ট বলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে টিআইবি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো গবেষণা না করে কিছু ‘শ্যালো’ বিষয়, কিছু পত্রিকার রিপোর্ট এবং তড়িঘড়ি করে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রেস ব্রিফিং করে। গতকালেরটাও আমার কাছে সে রকমই মনে হয়েছে। টিআইবি’র রিপোর্টকে একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট উল্লেখ করে নির্বাচন নিয়ে তোলা অভিযোগ খন্ডন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি আসনেই অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন এবার যে বলিষ্ঠভাবে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, আইন-কানুন প্রয়োগ করেছে, তা অতীতে এতো কঠোরভাবে হয়েছে কি না, আমার অন্তত মনে পড়ে না।
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার পাঁচজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এমন কি নির্বাচনের দিন বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম ১৬ আসনে আমাদের দলের নৌকা মার্কার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। আমাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুকে নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয়েছে, তিনি সেখানে গেছেন।
তিনি বলেন, আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা পর্যবেক্ষক, ওআইসি, সার্ক, কমনওয়েলথভুক্ত দেশ থেকে যারা এসেছিল, সবাই নির্বাচনের প্রশংসা করেছে এবং নির্বাচনের পর সবাই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বিভিন্ন দেশ নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, সেটিকে ম্লান করার জন্যই টিআইবি’র এই প্রতিবেদন।