বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন
আতিকুর রহমান আতিক, মফস্বল ডেস্ক থেকে :
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগে স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ২৩ জুলাই শুক্রবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকামারী গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পুত্রবধূ রিনা আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে রিনা আক্তার বলেন, গত ১৮ জুলাই দুপুরে তার অসুস্থ শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সে সময় যথারীতি হাসপাতালের ল্যাব বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রক্ত পরীক্ষা করার পর বিকালে রিপোর্টসহ রোগীকে আবার হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি বলেন, আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ ছিল। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছি। তারপর ডাক্তার ব্লাড টেস্ট করতে বলেছেন। ব্লাড টেস্ট করে আসার পর ডা: সুজন পাল বলেন, আপনার শাশুড়ি সুস্থ আছে; ভাল আছে। আপনারা তাকে বাসায় নিয়ে যান।
এরপর ডা: সুজন পালের দুই ঘণ্টা হাত ধরেছি, পাও ধরেছি, তবু ভর্তি নেননি। তারপর শাশুড়ি বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে মারা গেলে তারা নিজের দোষ ঢাকার জন্য হাসপাতালে ভাঙচুর করে। পরে আমাদের বের করে দিয়েছে।
রিনা আক্তার আরও বলেন, এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো আমার স্বামীর নামে হাসপাতালে ভাঙচুরের মামলা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমরা নাকি মৃত্যু রোগী হাসপাতালে নিয়ে গেছি। তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, তারা তাহলে কাকে দুই মাসের ওষুধ লিখে দিল। কাকে রিপোর্ট করতে দিল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা মৃত্যুর এই ঘটনার পর সদর থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি। আমার স্বামীর নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজন জাহিদুল ইসলাম জাহিদের নাম উল্লেখসহ ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হারুন অর রশিদ।
মামলায় বলা হয় ১৮ জুলাই বিকালে জাহেদা বেগম নামে এক মৃত্যু রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজন পাল রোগীকে মৃত ঘোষণা করলে স্বজনরা চিকিৎসক ও নার্সদের মারধর করে। পরে তারা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।