যশোর প্রতিনিধি : ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় আটকা পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিনই আসছে। এর মধ্যে আজ শুক্রবার (২৮ মে) বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সময় ভারত থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরেছে ৯৪ জন।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সময়ে ৩ হাজার ৯০২ জন পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিল ১৭ জন। অপর দিকে বাংলাদেশে আটকা পড়াদের মধ্যে ৩৮৮ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে ফিরে গেছেন।
শুক্রবার (২৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বাংলাদেশ সরকার ভারতের করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ রোধে ২৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে করে ভারতে আটকা পড়ে কয়েক হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী।
সেসব আটকা পড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের নিজ দেশে ফিরতে হলে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর ল্যাবের করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেন বাংলাদেশ সরকার।
সেই মোতাবেক গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশে ফিরেছে দিনে ৩ হাজার ৯০২ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী। এবং বাংলাদেশে আটকা পড়া ৩৮৮ জন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরে গেছেন। তিনি আরও জানান, ভারত থেকে আসা এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের বেনাপোল, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনা ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন হোটেল ও এতিম খানার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।
যেসব যাত্রী করোনায় আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে দেশে ফিরছেন তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা ইউনিটে পাঠানো হচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার ভারতের করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় দুই সপ্তাহ ও পরে আরও দুই সপ্তাহের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে কর্মরত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফুজজামান জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার তিন দফায় ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তবে যারা ভারতে আটকা পড়েছে শুধুমাত্র তারাই কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এছাড়া সেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা দেশে ফিরছেন তাদের বাধ্যতামূলক বেনাপোল, যশোর, খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ার কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও এতিমখানার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।