অনলাইন ডেস্কঃকরোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এর মধ্যেও বেনাপোল দিয়ে দেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের। নিষেধাজ্ঞার ১২তম দিন (শুক্রবার) পর্যন্ত ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ১৬৮ জন। ফেরত আসা এসব যাত্রীর মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিল ১২ জন। সবশেষ শুক্রবার ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, চিকিৎসা শেষে ভারতফেরত অসহায় যাত্রীদের ভোগান্তি ও অর্থ খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশনে দালাল শ্রেণির বহিরাগতদের প্রবেশ রোধেও জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।
শুক্রবার সকালে বেনাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও ইমিগ্রেশন ভবনে সাঁটানো যাত্রী সুবিধার এমন নোটিশ চোখে পড়ে।
শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা জানান, ভারতফেরত যাত্রীরা যাতে কোনোভাবে দালাল শ্রেণির মানুষের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন এজন্য ইমিগ্রেশন ও বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সতর্ক বার্তা দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু যাত্রীদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পরীক্ষা করে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীদের হোটেল ও যানবাহন ভাড়া সাশ্রয়ে সংশিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কিলোমিটার প্রতি নন এসি যানবাহন ভাড়া ১২ দশমিক ৫০ টাকা ও এসিতে ১৭ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। হোটেল ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে হোটেল মালিকদের।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, নিষেধাজ্ঞার গত ১২ দিনে ভারত থেকে ফিরেছে ২১৬৮ জন। সবশেষ শুক্রবার ভারত থেকে ২৭৬ জন ফিরেছেন। ফেরত আসা ২১৬৮ জনের মধ্যে ১২ জন ছিল করোনা পজিটিভ। এরা ভারতে গিয়ে করোনা আক্রান্তের শিকার হয়।