ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকে খাগড়াছড়িতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণ করে আসামিরা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতের জবানবন্দিতে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত ৬ জন। তবে মূল অভিযুক্ত নুরুল আমিন আদালতে জবানবন্দি না দেয়ায় তাকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৭ আসামির মধ্যে ৬ জনকে রোববার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তারা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তবে মূল হোতা নুরুল আমিন জবানবন্দি না দেয়ায় তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এর আগে সকালে গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। এ সময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করেছিলো তারা। গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেককেই মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নানা অপকর্মের পরিকল্পনা করে বলেও জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলের, তাদের ভাষ্যমতে তারা পালাক্রমে সবাই ওই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ডাকাতি এবং গণধর্ষণের মত এরকম জঘন্য অপরাধ যারা করেছে তাদের পিসিপিআর গুলো আমরা যাচাই করার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি এই সাতজনেই ইতোপূর্বে অস্ত্র মামলা, ডাকাতি মামলা, ধর্ষণের মামলা এবং মাদকের মামলাতেও আছে।
এ ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি এবং লুট করা স্বর্ণালংকার ও বেশ কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে যে তথ্যগুলো পেয়েছি তারা সকলেই পেশাদার অপরাধী।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে রোববার সকালে মানববন্ধন করে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম। এ সময় তারা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গত বুধবার রাতে খাগড়াছড়ির বলপাইয়া গ্রামে ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী এক নারীকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং ডাকাতির অভিযোগে অজ্ঞাত ৯ জনকে আসামি করে সদর থানায় আলাদা দু’টি মামলা করেন।