ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

ভাঙ্গায় ছেলে ধরা সন্দেহে ভারসাম্যহীন এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০২৯ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাত বছরের এক শিশুকে অপহরণ করেছে এমনটি সন্দেহে সামচেল মোল্লা (৩৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া বাসস্টান্ডে ।

নিহত যুবক একই ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বারেক মোল্লার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর গ্রামের খায়রুল মীর এর সাত বছরের ছেলে রিতাজ মীরকে ওই যুবক নিজের সন্তান বলে জড়িয়ে ধরে রাস্তায় হাঁটার সময় ছেলেটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছেলেটিকে উদ্ধার করে। পরে ওই যুবককে আটক করে পথচারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারায় এলাকাবাসী তাকে ছেলেধরা সন্দেহ করে বেদম প্রহার করে। একটি পযার্য়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সামচেল মোল্লাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। ভাঙ্গা থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মোঃ হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ওই লোকটি সাত থেকে আট বছরের একটি শিশুকে অপহরণ করে নেওয়ার সন্দেহে জনতা তাকে আটক করে। তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারায় গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত হলে পরে হাসপাতালে মারা যায়। ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল ইসলাম বলেন, যুবকের ফিঙ্গার দিয়ে ভোররাতে পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। নিহত শামসেল এর বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ও নেশাগ্রস্ত মানুষ। এ কারণে তার দুইজন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।গতকাল সন্ধ্যার পরে একটি শিশুকে হাত ধরে টানাটানি করে। তখন ওই শিশুর সঙ্গে থাকা দুইজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রও ছিল। তারা ছেলে ধরা ছেলে ধরা বলে চিৎকার করতেই উৎসুক জনতা সামচেলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগস :

ভাঙ্গায় ছেলে ধরা সন্দেহে ভারসাম্যহীন এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাত বছরের এক শিশুকে অপহরণ করেছে এমনটি সন্দেহে সামচেল মোল্লা (৩৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া বাসস্টান্ডে ।

নিহত যুবক একই ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বারেক মোল্লার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর গ্রামের খায়রুল মীর এর সাত বছরের ছেলে রিতাজ মীরকে ওই যুবক নিজের সন্তান বলে জড়িয়ে ধরে রাস্তায় হাঁটার সময় ছেলেটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছেলেটিকে উদ্ধার করে। পরে ওই যুবককে আটক করে পথচারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারায় এলাকাবাসী তাকে ছেলেধরা সন্দেহ করে বেদম প্রহার করে। একটি পযার্য়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সামচেল মোল্লাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। ভাঙ্গা থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মোঃ হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ওই লোকটি সাত থেকে আট বছরের একটি শিশুকে অপহরণ করে নেওয়ার সন্দেহে জনতা তাকে আটক করে। তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারায় গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত হলে পরে হাসপাতালে মারা যায়। ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল ইসলাম বলেন, যুবকের ফিঙ্গার দিয়ে ভোররাতে পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। নিহত শামসেল এর বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ও নেশাগ্রস্ত মানুষ। এ কারণে তার দুইজন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।গতকাল সন্ধ্যার পরে একটি শিশুকে হাত ধরে টানাটানি করে। তখন ওই শিশুর সঙ্গে থাকা দুইজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রও ছিল। তারা ছেলে ধরা ছেলে ধরা বলে চিৎকার করতেই উৎসুক জনতা সামচেলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।