ভাঙ্গায় নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পরে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার
মামুনুর রশীদ/ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মানষিক রোগে আক্রান্ত কাশেম মাতুব্বর নামে এক বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বৃদ্ধা গত সোমবার রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে বাড়ির পাশের একটা পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে। কাশেম মাতুব্বর দেওড়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশেম মাতুব্বর কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছে। ২ অক্টোবর সোমবার এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু বাড়ির লোকজনের অজান্তেই রাতের কোন এক সময় ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন পরের দিন মঙ্গলবাক র পরিচিত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় উদবিঘ্ন হয়ে উঠেন।
পরের দিন বুধবার সকালে ছেলে খায়ের মাতুব্বর নিজের পিতা নিখোজ বলে একটি অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। অভিযোগ দায়ের করার পর বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসী বাড়ির পাশের পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় পরিবারের লোকজন কাশেম মাতুব্বরের মরদেহ বলে সনাক্ত করেন।
কাশেম মাতুব্বরের স্ত্রী খবিরন বেগম জানান, আমার স্বামী কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি রাতে বারবার ফজরের আজান দিয়েছে বলে বের হয়ে মসজিদের দিকে যেত। নামাজের সময় না হলে মসজিদ বন্ধ দেখে আবার ফিরে আসতো। কিন্তু গত দুইদিন ধরে বের হয়ে আর ফেরেনি। আমাদের মনে হয় অজু করতে গিয়ে পুকুরে পড়ে আর উঠতে পারে নাই। তার কোন শত্রু আছে বলে কারো বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) প্রদ্যুত সরকার জানান, বৃদ্ধা কাশেমের মরদেহ সুরততাহলে স্বাভাবিক মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কোন অভিযোগ না থাকায় লিখিত নিয়ে দাফনের জন্য মরদেহ পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে।