ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ হিমবাহ ধসের ঘটনায় ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ১৭০ জনের মতো।উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই সময় জানায়, রবিবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে জোশীমঠে নন্দাদেবীর হিমবাহ ধসে চামোলি জেলার তপোবন এলাকার রানি গ্রামে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে বানের তোড়ে ভেসে গেছে আশপাশের ঘরবাড়িসহ গোটা এলাকা।
পানির চাপে রেইনি গ্রাম এলাকায় হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত বহু শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ছবিতে দেখা গেছে, শুধু বরফগলা পানি নয়, কাদা, পাথর ও নুড়ির স্রোত প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে। সামনে যা পেয়েছে তাই গুঁড়িয়ে দেয় ওই ভয়ংকর স্রোত।
এই ভয়ংকর স্রোতের পেছনে নদীর ওপর ইচ্ছেমতো বাঁধ নির্মাণকে দায়ী করছেন পরিবেশবিদ ও ভূগোলবিদেরা। তারা বলছেন, হিমবাহ থেকে পানি গলে তা বাধাহীন ভাবে বয়ে গেলে এত ক্ষতি হতো না। কিন্তু তা এসে ধাক্কা খেয়েছে বাঁধে। বাঁধের পেছনে পানির সঙ্গে প্রচুর কাদা, পাথর জমে থাকে। বাঁধ ভাঙার সময় সেগুলোও পানির সঙ্গে মিশেছে।
ইতোমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। আরও ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুরুতর আহতদেরও ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।