আজ জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান বর্তমানে এক ‘ডিফাইনিং মোমেন্টে’। আমাদের সামনে এখন দুটি পথ আছে। তার আগে আমি আপনাদের বলতে চাই কেন আমার মতো একজন মানুষ রাজনীতিতে এসেছে। আল্লাহ আমাকে সব দিয়েছেন। খ্যাতি দিয়েছেন। অর্থ দিয়েছেন। তাই আমি নিজেকে সৌভাগ্যভান মনে করি। একটি স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণকারী প্রথম প্রজন্মের মানুষ আমি।
এ সময় ইমরান খান বলেন, আমার থেকে পাকিস্তানের বয়স ৫ বছর বেশি। দাসত্বের সময়কালে জন্মেছিলেন আমার পিতামাতা। তারা আমাকে বুঝতে শিখিয়েছিলেন যে, একটি স্বাধীন দেশে জন্মাতে পেরেছি, এ জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। আমি রাজনীতিতে এসেছি। কারণ, আমি একটি সিদ্ধান্তে এসেছি যে- আল্লামা ইকবাল যেমন স্বপ্ন দেখেছিলেন, কায়েদে আযম ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে যে দেশের জন্য লড়াই করেছিলেন, সেই পাকিস্তান কখনো হবে না।
ইমরান খান আরও বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্যই ছিল একটি ইসলামিক কল্যাণময় রাষ্ট্র হবে, যেমনটা দেখা যায় মদিনায়। যখন আমি রাজনীতি শুরু করি আমার ম্যানিফেস্টোতে তিনটি জিনিস যুক্ত করেছিলাম। তা হলো ন্যায়বিচার। যার অর্থ হলো শক্তিধর এবং দুর্বল সবার জন্য একই আইন কার্যকর থাকবে। থাকবে মানবতা। কারণ, একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে থাকবে দয়া, সহানুভূতি। তৃতীয়ত থাকবে খুদ্দারি। কারণ, মুসলিম জাতি কোনো দাস হতে পারে না।
ইমরান খান আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার পররাষ্ট্রনীতি হবে স্বাধীন। এটা হবে পাকিস্তানের জন্য। এর অর্থ এই নয় যে, আমরা শত্রুতা চাই। যখন আমি সরকার পেয়েছি বলেছি, আমাদের পক্ষে যাবে না এমন কোনো পররাষ্ট্রনীতি আমাদের হবে না। জাতির উদ্দেশে তিনি এখনও ভাষণ দিচ্ছেন।