মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স পেটালেন মাইক্রোবাসের দুই যাত্রীকে
জয়নাল আবেদীন জয়/জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শিমুলতলী এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময় সৌরভ (২৮) ও সাব্বির হোসেন(২৮) নামে মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা দুই যাত্রীকে বেধরক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সোর্সের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে জনগণের তোপের মুখে পড়েন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এক পর্যায়ে পাঁচবিবি গোহাটীর ঐতিহ্য হোটেলে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনসাধারণ। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পাঁচবিবি থানা পুলিশের সহযোগিতায় উভয় পক্ষের লোকজনের সমঝোতার ভিত্তিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জয়পুরহাট-হিলি সড়কের শিমুলতলী এলাকায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক মাহবুবর রহমানের নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের তল্লাশী করেন।
এসময় পাঁচবিবি থেকে জয়পুরহাটগামী একটি মাইক্রোবাসে পাঁচবিবি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সুরুজ ও তার দুই সহযোগী সৌরভ (২৮) ও সাব্বির হোসেন(২৮) গাড়ীতে বসে নিজেদের গন্তব্যে যাচ্ছিলেন।
শিমুলতলী এলাকায় পৌছালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাইক্রোবাসটি থামানোর জন্য বলেন। তাৎক্ষণিক গাড়ীটি না থামিয়ে একটু অদূরে থামিয়ে গাড়ী থেকে বের হতেই কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দুই সোর্স সৌরভ (২৮) ও সাব্বির হোসেন(২৮)কে বেধরক মারপিট করে।
পরে উভয় পক্ষে মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে পাঁচবিবির গরুহাটী ঐতিহ্য হোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পাঁচবিবি থানার এস আই আব্দুল করিম, এ এস আই রইচ উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর মামুন ফকির, সাবেক কাউন্সিলর আঃ হান্নান রনি সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জয়পুরহাট জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিমুলতলী এলাকায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা তল্লাশী চলাকালে একটি মাইক্রোবাসকে সংকেত দিলে তারা সেটি অমান্য করে। পরে তাদের ধাওয়া করিয়ে আটকায়। একসময় তাদের সঙ্গে আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভূলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আপোস মিংসার মাধ্যমে সৃষ্ট ঘটনার সমাধান করা হয়।