যেসব কোম্পানির (মার্চেন্ট) কাছ থেকে ইভ্যালি বাকিতে পণ্য নিয়েও টাকা পরিশোধ করেনি, তাদের কাছে ইভ্যালির দেনা ১৯০ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটির এ হিসাব দিয়েছিল।
এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ জানতে চেয়ে ইভ্যালিকে চিঠি দিয়েছিল গত ১১ আগস্ট। জবাব দেওয়ার শেষ সময় ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল প্রথম আলোকে জানান, গতকাল জবাব দেওয়া হয়েছে। তবে মার্চেন্টদের সংখ্যা ও দেনার পরিমাণ জানাতে চাননি তিনি।
ইভ্যালির গতকালের জবাবটি ছিল তৃতীয় পর্যায়ের। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিকে গত ১ আগস্টের মধ্যে তিন ধরনের হিসাব দিতে বলেছিল। এগুলো হচ্ছে কোম্পানির সম্পত্তি ও দায়; গ্রাহকদের কাছে দায়, মার্চেন্টদের সংখ্যা ও তাদের কাছে দায় এবং দায় পরিশোধের পরিকল্পনা।
ইভ্যালি জবাব না দিয়ে ছয় মাসের সময় চেয়ে ১ আগস্ট আবেদন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা না মেনে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক ডাকে গত ১১ আগস্ট। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইভ্যালিকে ১৯ ও ২৬ আগস্ট এবং ২ সেপ্টেম্বর হিসাব দিতে বলা হয়।
ইভ্যালির তথ্যানুযায়ী, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি ১০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আর অস্থাবর সম্পত্তি ৪৩৮ কোটি টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ৪২৩ কোটি টাকা হচ্ছে ইভ্যালির ব্র্যান্ড মূল্য, আর ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা হচ্ছে অদৃশ্যমান সম্পত্তি। এ ছাড়া ২ লাখ ৮ হাজার গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দেনার পরিমাণ ৩১১ কোটি টাকা।