জেলা প্রতিনিধিঃ শরিফ উদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে ২৫ বছর আগে। পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি বিষ খেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল বিজিবির মাদকবিরোধী অভিযানের পর করা মামলায় তাকে পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে।
শরিফ উদ্দিনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামে। তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ আকন্দবাড়িয়া গ্রামে থাকতেন। তদন্তে তার মৃত্যুর তথ্য বেরিয়ে আসার পর নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পে বদলি করা হয়েছে ওই মামলার বাদী উথলী বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার নুরুল হককে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকন্দবাড়িয়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান চালান নুরুল হক। এ সময় ছয় বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয় শরিফ উদ্দীনের স্ত্রী বিলু বেগম, ছেলে উজ্জল মিয়া ও রমজান মণ্ডলের ছেলে নিজাম উদ্দিনকে। পরদিন ১ মে তাদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে মাদক মামলা করেন নুরুল।
এই মামলায় পলাতক আসামি দেখানো হয় আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আকাশ আলী, বাতাস আলী, মো. বিপুল, মো. লিটন, সবুরা বেগম ও শরিফ উদ্দিনকে।
গতকাল শনিবার বিকেলে মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে দর্শনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ দেখেন, মামলার এক পলাতক আসামি শরিফ উদ্দীন অনেক আগেই মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরিফের শ্যালক নিজাম উদ্দিন। তিনি জানান, শরিফ কৃষিকাজ করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে ২৫ বছর আগে তিনি বিষ খেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন। অথচ বিজিবি তার নামে মামলা করেছে।
এবিষয়ে নুরুল বলেন, ‘আমি শরিফ উদ্দীনকে আগে থেকে চিনতাম না। গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পলাতক আসামিদের তথ্য নেয়া হয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। ভুল তথ্যের কারণে এমন ত্রুটি হয়েছে।