জেলা প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় দলিল লেখার তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করা অভিযোগে স্ট্যাম্প জালিয়াতির মামলায় শমসের আলী (৫৮) নামে ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বাদী আড়পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতারক শমসের আলীর কাছ থেকে জমি কেনার জন্য তিন লাখ টাকা দেই।
শমসের জমির দাম পরিশোধ পূর্বক দলিল লিখে রেজিস্ট্রি করতে গেলে খারিজ না থাকায় ওইদিন জমি রেজিস্ট্রি করা হয় না। পরের দিন রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করার কথা বললেও আলী আর রেজিস্ট্রেশন করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন এবং টাকা ফেরতও দেন না। একপর্যায়ে তিনি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। পরে থানায় বসার কথা বলে সময় নেন প্রতারক শমসের। কিন্তু তিনি থানায় না বসে গোপনে স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে মেহেরপুর আদালতে আমার নামেই একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন না হওয়ায় দলিলটি কৌশলে শমসের ও তার মহুরি সহকারী দোলুর রেখে দেন। পরে ওই স্ট্যাস্পের দ্বিতীয় পৃষ্টা ফাঁকা থাকায় সেখানে একটি মিথ্যা ও ভূয়া চুক্তিনামা তৈরি করে শমসের আমার নামে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
আদালতে স্ট্যাম্পটি জাল প্রমাণ হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। পরে ওই জাল স্ট্যাম্পের কাগজপত্র তুলে আমি শমসের, দোলু ও তাদের সহযোগী সিরাজুল ইসলামের নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে আদালত তাদের তিন জনের নামে গ্রেফতারি সমন জারি করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, স্ট্যাম্প জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতের গ্রেফাতারি পরোয়ানামূলে শমসের ও সহকারী সহকারী দলিল লেখক দোলু মহুরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। অপর পলাতক আসামি সিরাজুলকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতার শমসের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গাংনী থানা ও মেহেরপুর আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।