বগুড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং বেঞ্চ সহকারীর সঙ্গে অসদাচরণ করায় আদালত পুলিশ এক আইনজীবী আটকে রাখার পর বারের নেতারা তাকে ছাড়িয়েছেন। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আদালত শুরু হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুল আলম জানান, এ্যাড. আতিক মাহমুদ একটি মামলা করেন। সেই মামলার আদেশ কি হয়েছে জানতে চান তিনি। আমি বলি, স্যার এখনও আদেশের কপি দেননি। তাই কীভাবে দিব। এ নিয়ে হৈচৈ শুরু করেন এবং মারতে উদ্যত হন। তখন স্যার চলে এসে ঘটনা দেখেন। এর মাঝেই আদালতের পুলিশ এসে তাকে অবরুদ্ধ করে। পরে বার সমিতির নেতারা এসে সমঝোতা করে তাকে নিয়ে যান।
এ্যাড. আতিক মাহমুদ জানান, মামলার আদেশ দেখতে পেশকার ২০০-৩০০ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে কথোপকথন হয়।
বগুড়া বারের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ্যাড. আতিক মাহমুদ আগেও তিনবার আদালতে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি আর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবেন না বলে আমরা বলে তাকে নিয়ে এসেছি। আর কিছু করলে আমরা যাব না।
জুডিশিয়াল আদালতের ওসি অশোক কুমার সিংহ জানান, ওই আইনজীবীর সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। পরে আইনজীবী নেতারা সমঝোতা করেছেন।