অনলাইন ডেস্কঃ
যশোর জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে এক প্রসূতির গর্ভ থেকে শিশুর শরীর বের হলেও মাথা ভেতরে রয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আয়া দিয়ে ডেলিভারির সময় এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানটির আয়া মোমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটে এই ঘটনা ঘটে।
শার্শা উপজেলার গাজীপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেন অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী আন্না খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার স্ত্রীর গর্ভে থাকা শিশুর পা বের হয়েছিল। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন প্রসূতি।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা শিশুর পা আবার বের হয়ে এলে সে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি আমার স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশনের জন্যে। কোনো ডাক্তার বা নার্স আসেননি সহযোগিতা করতে। একপর্যায়ে হাসপাতালের আয়া মোমেনা খাতুন এগিয়ে আসেন এবং শিশুর পা ধরে টান দেন। এতে শিশুটির মাথা এবং ধড় আলাদা হয়ে যায়। মাথাটি রয়ে গেছে ভেতরে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটলেও রাত দশটা নাগাদ কোনো চিকিৎসক আসেনি আমার স্ত্রীর কাছে।
তবে কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, প্রসূতির গর্ভের সন্তানের বয়স হয়েছে মাত্র ২০ সপ্তাহ, ওজন মাত্র ৩৯৯ গ্রাম। সকালে আলট্রাসনোগ্রাম করে দেখা গেছে, শিশুটি পেটের মধ্যে মৃত অবস্থায় রয়েছে। আয়া কখন কীভাবে কী করেছে তা জানা নেই বলে দাবি নার্সদের। এদিকে, যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আরিফ আহমেদ ওই আয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কোতয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, এরকম কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।