যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গণনায় বিদেশি কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপের প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। সিকিউরিটি বিভাগের সাইবার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে ক্রিস্টোফার ক্রেবস বলেন, ‘কোনো বিদেশি পক্ষ আমেরিকানদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে পেরেছে অথবা ভোটের গণনায় পরিবর্তন করতে পেরেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।’
২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টার পেছনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
মার্কিন সিনেটে আবারও রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা
ক্রেবস বলেছেন, ভোট গণনার প্রক্রিয়া চলাকালীন বা চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগে বিদেশি কোনও পক্ষ যেন প্রভাব খাটাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি অব্যাহত রাখবো আমরা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শিবির এখন পর্যন্ত কারচুপির অভিযোগ করার পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে ভোট গণনার ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৮টায়)। এখন চলছে ভোটের ফল গণনা।
জনমত জরিপ সত্য হলে বাইডেনের সহজেই জয়ী হওয়ার কথা, এমনকি তার নিরঙ্কুশ জয়ও অসম্ভব নয়। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার পরাজিত হলে তা হবে ১৯৯২ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের পর প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টের পুনঃনির্বাচনে হার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে আর মাত্র কয়েকটি ইলেক্টোরাল ভোট প্রয়োজন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের। ২৬৪টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেক্টোরাল ভোট।