ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক

যে আমল বান্দাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৬৪ বার পড়া হয়েছে

জান্নাতে যাওয়ার জন্য শিরকমুক্ত ইবাদত-বন্দেগির বিকল্প নেই। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সংক্রান্ত অনেক আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। আবার বিশ্বনবি নির্দেশিত আমল করার ঘোষণা দেয়া ব্যক্তিকে তিনি জান্নাতি বলে সম্বোধন করেছেন। কী সেই আমল? যে আমল বান্দাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক হাদিসে জান্নাতি ব্যক্তির ঘোষণা দিয়েছেন। অনেক আমলের কথা বলেছেন। তবে যেসব কাজে জান্নাত সুনিশ্চিত। যে আমল পালনের নিশ্চয়তা দানে জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্বনবি; সে সম্পর্কিত দুটি হাদিস তুলে ধরা হলো। হাদিসে এসেছে-

-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক বেদুইন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন, আমি যদি তা পালন করি তবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

‌- আল্লাহর ইবাদাত করবে;

 তার সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না;

– ফরজ নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে;

 ফরজ জাকাত আদায় করবে;

 রমজান মাসে রোজা পালন করবে।

সে বলল ওই আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ; আমি এর চেয়ে বেশি করব না।

যখন বেদুইন লোকটি ফিরে যাচ্ছিল; তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনযে জান্নাতি কোনো ব্যক্তিকে দেখতে পছন্দ করেসে যেন এ ব্যক্তিকে দেখে নেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)

-হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন; যে আমল আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।

সেখানে উপস্থিত সবাই বলল- তার কী হয়েছে? তার কী হয়েছে?

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-

– তুমি আল্লাহর ইবাদাত করবে;

– আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না;

 নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে;

 জাকাত আদায় করবে এবং

– আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে।

একে ছেড়ে দাও। হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, তিনি ওই সময় তাঁর সাওয়ারির ওপর ছিলেন। (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিস দু’টি থেকে মুমিন মুসলমানের জন্য উপদেশ গ্রহণের অন্যতম শিক্ষা হলো- ইবাদত করতে আল্লাহর; ফরজ নামাজ, ফরজ রোজা ও ফরজ জাকাত যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক বা অংশীদার স্থাপন করা যাবে না এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট করা যাবে না। তাতেই মিলবে জান্নাত। এ কাজের স্বীকৃতিদানকারী ও পালনে অঙ্গীকার গ্রহণ করা ব্যক্তিকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় জান্নাতি বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের জন্য দুনিয়ায় জান্নাত লাভের সে সুযোগ এখনও বিদ্যমান। যে বা যারা এ হাদিস দুটির ওপর যথাযথ আমল করবে। তারাও দুনিয়াতেই নিজেদের স্থান জান্নাতে নিশ্চিত করতে পারবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগি ও আমল করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া থেকেই নিজেদের জান্নাতের জন্য প্রস্তুত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

যে আমল বান্দাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

জান্নাতে যাওয়ার জন্য শিরকমুক্ত ইবাদত-বন্দেগির বিকল্প নেই। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সংক্রান্ত অনেক আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। আবার বিশ্বনবি নির্দেশিত আমল করার ঘোষণা দেয়া ব্যক্তিকে তিনি জান্নাতি বলে সম্বোধন করেছেন। কী সেই আমল? যে আমল বান্দাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক হাদিসে জান্নাতি ব্যক্তির ঘোষণা দিয়েছেন। অনেক আমলের কথা বলেছেন। তবে যেসব কাজে জান্নাত সুনিশ্চিত। যে আমল পালনের নিশ্চয়তা দানে জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্বনবি; সে সম্পর্কিত দুটি হাদিস তুলে ধরা হলো। হাদিসে এসেছে-

-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক বেদুইন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন, আমি যদি তা পালন করি তবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

‌- আল্লাহর ইবাদাত করবে;

 তার সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না;

– ফরজ নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে;

 ফরজ জাকাত আদায় করবে;

 রমজান মাসে রোজা পালন করবে।

সে বলল ওই আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ; আমি এর চেয়ে বেশি করব না।

যখন বেদুইন লোকটি ফিরে যাচ্ছিল; তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনযে জান্নাতি কোনো ব্যক্তিকে দেখতে পছন্দ করেসে যেন এ ব্যক্তিকে দেখে নেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)

-হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন; যে আমল আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।

সেখানে উপস্থিত সবাই বলল- তার কী হয়েছে? তার কী হয়েছে?

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-

– তুমি আল্লাহর ইবাদাত করবে;

– আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না;

 নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে;

 জাকাত আদায় করবে এবং

– আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে।

একে ছেড়ে দাও। হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, তিনি ওই সময় তাঁর সাওয়ারির ওপর ছিলেন। (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিস দু’টি থেকে মুমিন মুসলমানের জন্য উপদেশ গ্রহণের অন্যতম শিক্ষা হলো- ইবাদত করতে আল্লাহর; ফরজ নামাজ, ফরজ রোজা ও ফরজ জাকাত যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক বা অংশীদার স্থাপন করা যাবে না এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট করা যাবে না। তাতেই মিলবে জান্নাত। এ কাজের স্বীকৃতিদানকারী ও পালনে অঙ্গীকার গ্রহণ করা ব্যক্তিকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় জান্নাতি বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের জন্য দুনিয়ায় জান্নাত লাভের সে সুযোগ এখনও বিদ্যমান। যে বা যারা এ হাদিস দুটির ওপর যথাযথ আমল করবে। তারাও দুনিয়াতেই নিজেদের স্থান জান্নাতে নিশ্চিত করতে পারবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগি ও আমল করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া থেকেই নিজেদের জান্নাতের জন্য প্রস্তুত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।