ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর

রাজবাড়ীর পৌর আঃলীগ নেতা সফি’র দখলে থাকা কোটি টাকার জমি উদ্ধার করলো আদালত

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬০ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীর পৌর আঃলীগ নেতা সফি’র দখলে
থাকা কোটি টাকার জমি উদ্ধার করলো আদালত

আবুল কালাম আজাদ রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি’র দখলে থাকা কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ০৬.১৯ একর জমি উদ্ধার পূর্বক মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দিন ভর নানা নাটকিয়তার পর ওই জমির দখল থেকে দখলদারকে উচ্ছেদ করে সম্পূর্ণ জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয় প্রকৃত মালিক মাসুদুর রহমানকে।
জমির মালিক ও রাজবাড়ী জেলা শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের ফায়ার সার্ভিস এলাকার হাবিবুর রহমানের ক্যামিকেল ব্যবসায়ী ছেলে মাসুদুর রহমান জানান, তার বাবা ১৯৯২ সালে এই জমি সফিকুল ইসলাম সফির বোন আনোয়ারা বেগমের কাছে বিক্রি করে।
তার পর থেকে সফিকুল ইসলাম সফি সেখানে “মিতালি ফার্ণিচার” নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে তিনি ২০০৯ সালে সফিকুল ইসলামের বোন আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে জমি নিজ নামে ক্রয় করেন।
ওই সময় সফিকুল ইসলাম সফি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সড়িয়ে নিতে সাত দিনের সময় নেন।
তবে সফি তা সড়িয়ে না নিয়ে মৌখিক ভাবে তার বোনের কাছ থেকে কিনেছেন মর্মে তিনি রাজবাড়ীর নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সেই সাথে তিনি সফির বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করেন। দীর্ঘ ১২ বছর মামলা চলার পর তিনি তার পক্ষে রায় পান।
পরবর্তীতে সফি হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টেও রায় খারিজ হয়ে যায় সফির পক্ষে । হাই কোর্টের চুড়ান্ত রায় পান মাসুদুর রহমান।


মাসুদুর রহমানের আইনজীবি মারুফুল হাসান শামীম জানান, হাইকোর্টের ওই রায়ের প্রেক্ষিতে আদালত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।
সে কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা জজ আদালতের নাজির শ্যামল কুমার রায় এবং রাজবাড়ী থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার সময় সফি ও তার লোকজন বাঁধা প্রদান করে।
এতে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম বিলম্ব হলেও শেষ পর্যন্ত বিকালের দিকে উভয় পক্ষের আলোচনার পর উচ্ছেদ কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়।

আরও পড়ুন ঃপদ্মার গর্ভে বি‌লিন রাজবাড়ী‌র গোদার বাজার, ভাঙ্গনের ঝুকিতে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ
এদিকে, সফিকুল ইসলাম সফি জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে আদালত থেকে তাকে কোন নোটিশ করা হয়নি।
অতর্কিত ভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যে কারণে তিনি মালামাল সড়িয়ে নিয়ে আগতদের কাছে তিন দিন সময় দাবী করেন। তবে তাকে সে সময় দেয়নি আদালত।

রাজবাড়ীর পৌর আঃলীগ নেতা সফি’র দখলে থাকা কোটি টাকার জমি উদ্ধার করলো আদালত

আপডেট সময় : ০৭:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

রাজবাড়ীর পৌর আঃলীগ নেতা সফি’র দখলে
থাকা কোটি টাকার জমি উদ্ধার করলো আদালত

আবুল কালাম আজাদ রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি’র দখলে থাকা কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ০৬.১৯ একর জমি উদ্ধার পূর্বক মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দিন ভর নানা নাটকিয়তার পর ওই জমির দখল থেকে দখলদারকে উচ্ছেদ করে সম্পূর্ণ জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয় প্রকৃত মালিক মাসুদুর রহমানকে।
জমির মালিক ও রাজবাড়ী জেলা শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের ফায়ার সার্ভিস এলাকার হাবিবুর রহমানের ক্যামিকেল ব্যবসায়ী ছেলে মাসুদুর রহমান জানান, তার বাবা ১৯৯২ সালে এই জমি সফিকুল ইসলাম সফির বোন আনোয়ারা বেগমের কাছে বিক্রি করে।
তার পর থেকে সফিকুল ইসলাম সফি সেখানে “মিতালি ফার্ণিচার” নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে তিনি ২০০৯ সালে সফিকুল ইসলামের বোন আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে জমি নিজ নামে ক্রয় করেন।
ওই সময় সফিকুল ইসলাম সফি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সড়িয়ে নিতে সাত দিনের সময় নেন।
তবে সফি তা সড়িয়ে না নিয়ে মৌখিক ভাবে তার বোনের কাছ থেকে কিনেছেন মর্মে তিনি রাজবাড়ীর নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সেই সাথে তিনি সফির বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করেন। দীর্ঘ ১২ বছর মামলা চলার পর তিনি তার পক্ষে রায় পান।
পরবর্তীতে সফি হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টেও রায় খারিজ হয়ে যায় সফির পক্ষে । হাই কোর্টের চুড়ান্ত রায় পান মাসুদুর রহমান।


মাসুদুর রহমানের আইনজীবি মারুফুল হাসান শামীম জানান, হাইকোর্টের ওই রায়ের প্রেক্ষিতে আদালত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।
সে কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা জজ আদালতের নাজির শ্যামল কুমার রায় এবং রাজবাড়ী থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার সময় সফি ও তার লোকজন বাঁধা প্রদান করে।
এতে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম বিলম্ব হলেও শেষ পর্যন্ত বিকালের দিকে উভয় পক্ষের আলোচনার পর উচ্ছেদ কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়।

আরও পড়ুন ঃপদ্মার গর্ভে বি‌লিন রাজবাড়ী‌র গোদার বাজার, ভাঙ্গনের ঝুকিতে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ
এদিকে, সফিকুল ইসলাম সফি জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে আদালত থেকে তাকে কোন নোটিশ করা হয়নি।
অতর্কিত ভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যে কারণে তিনি মালামাল সড়িয়ে নিয়ে আগতদের কাছে তিন দিন সময় দাবী করেন। তবে তাকে সে সময় দেয়নি আদালত।